জি নিউজঃ- শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি ও পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী নাজমুল মাকসুদ মুরাদকে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তারের পর ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।গতকালবুধবার বিকালে মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন পুলিশের বিশেষ সুপার আব্দুল কাহহার আখণ্দ বলেন, মুরাদকে সকাল ১১টায় মুরাদকে দেশে আনা হয়।বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক মুরাদকে আটক ধরতে ইন্টারপোল ২০১১ সালে রেড নোটিস জারি করেছিল।এফবিআই ও যুক্তরাষ্ট্র পুলিশের সহযোগিতায় ২০১২ সালে ২ ফেব্রুয়ারি মুরাদকে আমেরিকার আটলান্টা থেকে প্রেপ্তার করা হয়,” বলেন কাহহার।রাজধানীরশাহজাহানপুরে বসবাসকারী মুরাদের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জে। তবে তিনি ঢাকায় বড় হয়েছেন।কাহহারবলেন, ১৯৯৬ সালে ৩ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে গিয়ে ফ্রিডম পার্টির কর্মী হিসাবেরাজনৈতিক আশ্রয় নেন মুরাদ।মুরাদেরবিরুদ্ধে এই মামলা ছাড়াও মতিঝিলে একটি হত্যা মামলাসহ মোট দুটি মামলা রয়েছে।১৯৮৯সালে ১১ অগাস্ট রাতে শেখ হাসিনার ৩২ নম্বর বাড়িতে ৭/৮ জন দুষ্কৃতকারী গুলিবর্ষণ, গ্রেনেডও বোমা নিক্ষেপ করে। তাকে হত্যার জন্যই ওই হামলা হয়েছিল বলে আওয়ামী লীগ নেতাদেরঅভিযোগ।হামলারপর ওই বাড়িতে কর্তব্যরত হাবিলদার জহিরুল হক বাদি হয়ে ওই বছরের ২৪ অগাস্ট একটিমামলা করেন।সিআইডিরতৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার মো. খালেক উজ্জামান ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে যেঅভিযোগপত্র দেন, মুরাদ তার ১৩ নম্বর আসামি বলে কাহহার জানান।বঙ্গবন্ধুহত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া সৈয়দ ফারুক রহমান, বজলুল হুদা ছাড়াও মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্তআব্দুর রশিদও এই মামলার আসামি।মামলায়বাকি আসামিরা হলেন- রেজাউল ইসলাম খান ফারুক, হুমায়ুন কবির, গাজী লিয়াকত হোসেন ওরফেকালা লিয়াকত, মিজানুর রহমান, জর্জ, মো. শাহজাহান, গোলাম সারোয়ার ওরফে মাসুম, সোহেলওরফে ফ্রিডম সোহেল, জাফর আহমেদ মানিক, নাজমুল মাকছুদ মুরাদ, গাজী ইমাম, হুমায়ন কবিরও খন্দকার আমিরুল ইসলাম কাজল।কাহহারবলেন, এ মামলার দুজন আসামির বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃতুদণ্ড কার্যকর হয়েছে, জামিনে রয়েছে ৬ জন, মুরাদসহ এখন হাজতে রয়েছে চারজন, বাকি চারজন পলাতক।পলাতকরাহলেন- আব্দুর রশিদ, রেজাউল ইসলাম, গাজী ইমাম ও জাফর আহমেদ মানিক।