জি নিউজ অনলাইন ডেস্কঃ- চাকরিজীবীদের মধ্যে বহু কর্পোরেট রীতি-নীতি চালু রয়েছে। এর কিছু রীতিমতো প্রবাদ হিসেবি প্রচলিত। পুরনো আমলের এসব ধ্যান-ধারণা নিয়ে বহু গবেষণা হয়েছে। আধুনিক যুগে অফিস নিয়ে এমন চারটি ভ্রান্ত ধারণার উল্লেখ করা হলো।
১. অফিস রোমান্স : প্যাট্রিক স্কুলিন ও তার স্ত্রী বিয়ের আগে একটি অ্যাড কম্পানিতে চাকরি করতেন। সেই অফিসে সহকর্মীর সঙ্গে রোমান্সের বিষয়ে কঠোর নিয়ম ছিলো। তাই গোপনে তারা নিজেদের সম্পর্ক গোপন করে চাকরি করতেন। একদিন ধরা খেলেন এবং দুজনেরই চাকরি চলে গেলো।
এই নিয়ম কিন্তু তাদের সম্পর্ক গড়ে তোলা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। কাজেই এই নিয়ম কী আদৌ কোনো মূল্য রাখে? রাখে না। আসলে শুধু অফিস কেন, যেকোনো স্থানেই মানুষের প্রেম-ভালোবাসাকে বেঁধে রাখা যায় না। এ ক্ষেত্রে দুজনকে আলাদা বিভাগে সরিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু এমন নিয়ম করে দুজনকে আলাদা রাখার উপায় নেই।
২. জল-খাবারের আলাপচারিতা : কফি খেতে গিয়ে, পানি ঠাণ্ডা করতে দিয়ে সহকর্মীরা আলাপচারিতায় মেতে ওঠেন। বসরা চোখ রাখেন যেনো এসব আলাপচারিতায় না গিয়ে সবাই দ্রুত কাজে চলে যায়। কিন্তু এটা ঠিক নয়। এ ধরনের আলাপচারিতা কর্মীদের মধ্যে বরং কাজের উৎসাহ বাড়িয়ে দেয়। এতে কাজের এনার্জি বাড়ে।
৩. দ্রুত চলে যাওয়া : আধুনিক প্রতিষ্ঠানগুলো যখন কোনো মানুষকে নিয়োগ দেয় তখন তারা ওই কর্মীর নানা সমস্যা ও বাইরের ব্যক্তিগত কাজ বিবেচনায় রেখেই নিয়োগ দেয়। আধুনিক সময়ে কোনো রোবটকে খুঁজে বের করা সম্ভব নয়। আবার অফিস থেকে দ্রুত বের হয়ে গেলেই যে কম কাজ করা হচ্ছে তা কিন্তু নয়। তা ছাড়া কোনো কর্মীকে তার ব্যক্তিগত কাজের সময় দিতেই হবে।
৪. ব্যক্তিত্ববান কর্মী : আগের আমলে, সিভিতে প্রাসঙ্গিক যোগ্যতা থাকলেই আপনি চাকরি পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু আধুনিককালে তা চলে না। এই যুগে আপনার অনলাইনে কার্যক্রম, নেটাওয়ার্কিং এবং ব্যক্তিত্ব যোগ্যতা যাচাইয়ের অন্যতম শর্ত। কাজেই বিভিন্ন কার্যক্রমে সংযুক্ত হয়ে এবং অনলাইনে নানা কার্যক্রম চালানোর মাধ্যমে আপনার ব্যক্তিত্ব গড়ে তুলুন। সূত্র-ইন্টারনেট।
অফিস বিষয়ে চারটি পুরনো ভ্রান্ত ধারণা
Share This