অনলাইন ডেস্ক:- বড় বেতনের চাকরিতে ধনী হতে পারেন আপনি। তবে কম বেতন পেয়ে যে গরিবানা হালে চলতে হয় তা কিন্তু নয়। বিশেষ উপায় অবলম্বন করলে অল্প বেতনেও অনেক ভালো চলা যায়। এমনকি কিছু সম্পদের মালিক হওয়াও সম্ভব। সামান্য বেতনে যদি বহু বছর চাকরি করেন, তাহলে হিসাব করে দেখবেন কত অর্থ উপার্জন করেছেন। একে নানা উপায়ে ব্যবহার করে সম্পদশালী হতে পারেন। এখানে নিন এক্সপার্টের পরামর্শ।
১. একটু উল্টো চিন্তা করে দেখুন। টেলিফোন, বিদ্যুৎ ইত্যাদি বিল প্রদান অতি জরুরি বিষয়। অনেকে এসব বিলের অর্থ আগে অন্য কাজে ব্যবহার করে ফেলেন। আরেকটি বিষয় হলো, পরে দেওয়া যাবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখা। এসব অভ্যাস বদলে আগে বিলের অর্থ আলাদা করে রাখুন। এরপর বাকি অর্থ দিয়ে জীবনযাপন করুন।
২. ভবিষ্যতের লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে কোথায় যেতে চান তা ঠিক করে নিন। এবার লক্ষ্য পূরণে এগোতে থাকুন। এগুলো বিভিন্ন উপায়ে হতে পারে। যেমন- মোট ছয় মাসের বেতন জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্যে জমিয়ে রাখবেন। এভাবে বিনোদন বা লেখাপড়ার কাজেও অর্থ জমাতে পারেন।
৩. নিজের পছন্দ এবং রুচির পরিবর্তন ঘটান। ধরে নিন, পছন্দের একটি জুতোর পেছনে চার হাজার টাকা খরচ করলেন না। এর জন্যে টাকা জমিয়েও তা থেকে অল্প অর্থ খরচ করে জুতো কিনুন। এর মাধ্যমে অর্থব্যবস্থাপনায় আপনার নিজস্ব অভ্যাস গড়ে উঠবে।
৪. অনেক ধনী আছেন যাদের ‘গোপন ধনী’ হিসাবে অভিহিত করা যায়। এরা যা উপার্জন করেন, জীবনযাপনে তা ফুটিয়ে তোলেন না। এরা বহু সম্পদের মালিক, কিন্তু জীবনযাপনে একেবারে সাদামাটা। এদের অনুসরণ করার চেষ্টা করুন। এ ক্ষেত্রে উপার্জনের অধিকাংশটাই সঞ্চয় হবে। মৌলিক চাহিদা পূরণ করার পর অন্যান্য খরচও চলবে। তবে তাতে নির্দিষ্ট মাত্রা যোগ হবে।
৫. এখন থেকেই অবসর জীবনযাপনের চিন্তা-ভাবনা শুরু করে দিন। এর জন্যে যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করতে হবে। একটি বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে চাইলে তার জন্যে অন্তত ডাউন পেমেন্টের অর্থ জমানো শুরু করুন। এ কাজটি যত দ্রুততার সঙ্গে করবেন, তত বেশি সঞ্চয় বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
৬. বেশির ভাগ মানুষ অর্থের আসা-যাওয়ার হিসাব ঠিক রাখতে পারেন না। কত আসছে বা কত যাচ্ছে তার হিসাব না রাখতে পারলে বিপদে পড়তে হবে। উপার্জন-জমা-খরচের পুরো হিসাব ঠিক থাকলে লক্ষ্য অনুযায়ী এগিয়ে যেতে পারবেন।
৭. ঋণ থাকলে এ থেকে বেরিয়ে আসা আপনার অন্যতম লক্ষ্য। তবে সবার জীবনেই ঋণ থাকে। বিশেষ করে যেখানে উচ্চ সুদে কিস্তি দিচ্ছেন, সেখান থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করুন।
৮. সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো, উপার্জন বাড়ানোর চেষ্টা করুন। দুই উপায়ে এ কাজটি করতে পারেন। খরচ কমানো বা সঞ্চয় বাড়ানো, যা সঠিক সমাধান নয়। দ্বিতীয়ত, অন্যান্য উপায়ে অর্থ উপার্জনের চেষ্টা চালান। তা ছাড়া এটি জরুরি কাজের একটি। কারণ সময়ের সঙ্গে জীবনযাপনের খরচ বাড়তে থাকবে। তার তুলনায় উপার্জন না বাড়লে চলাফেরা কঠিন হয়ে যাবে। তাই ইনকাম বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা মাথায় রাখুন।
৯. একজন পেশাদার এক্সপার্টের পরামর্শ নিতে পারেন। অনেক সময় সহজ সমাধানও মাথায় আসে না। কৌশলী পথগুলো না চিনলে সমস্যা সমাধানের পথও খুঁজে পাওয়া যায় না। একজন বিশেষজ্ঞ আপনাকে কঠিন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে সহায়তা করতে পারেন। তাই জটিল সমস্যায় ফিনানসিয়াল প্ল্যানারের কাছে চলে যান।
সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার