কাজী নাসির উদ্দীন, সাতক্ষীরাঃবাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ৭১ এর যুদ্ধাপরাধিদের বিচার যদি ৪২ বছর পর হতে পারে সাতক্ষীরায় যারা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে তাদের বিচারও এই বাংলার মাটিতেই হবে। যারা ছাত্রলীগ নেতা মামুন, আওয়ামী লীগ নেতা রবিউলকে হত্যা করেছে তাদের রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া হবেনা। আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় এলে কোন হত্যাকারি পার পাবেনা। তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।
জামায়াত-শিবিরের নির্মম হত্যার শিকার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ছাত্রলীগ নেতা মামুন, আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল ইসলাম ও সিরাজুল ইসলামের কবর জিয়ারাত শেষে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের শুর“তে জামায়াত শিবিরের হাতে নিহত ২০ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনট নিরবতা পালন করা হয়। সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়র শেখ মুজিবর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন, জাতীয় সংসদের হুইপ মির্জা আজম এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি.এম মোজাম্মেল হক এমপি, সাবেক মন্ত্রী ডা. আফম র“হুল হক এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য এস এম কামাল, জেলা পরিষদ প্রশাসক মুনসুর আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক নজর“ল ইসলাম ও সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মীর মোস্তাক আহমেদ রবি প্রমুখ। এসময় বক্তারা আরও বলেন, আমাদের সহনশীলতাকে দূর্বলতা ভাববার কোন কারন নেই। আপনাদের অপশক্তি ’৭১ -এ আমরা মোকাবেলা করেছি। গত ২৮ ফেব্র“য়ারির পর সাতক্ষীরায় জামায়াত যে তান্ডব চালিয়েছে স্বাধীনতার ৪২ বছর পর আমরা তা ভাবতেও পারেনি। আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের বির“দ্ধে র“খে দাড়াতে হবে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনের মত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন জাতির জন্য অনেক গুর“ত্বপূর্ণ বলে আখ্যাদেন বক্তারা। বক্তারা জনগনের উদ্দেশ্যে বলেন, দেশকে জঙ্গিবাদ থেকে রক্ষা করতে চাইলে শেখ হাসিনাকে আবারও রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসাতে হবে এজন্য বিরোধী দলের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলার জন্য নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান বক্তারা।
এর আগে নেতারা নিহতদের পরিবারের সাথে কিছু সময় অবহিত করেন। এবং তাদের শান্তনা দেন। তাদের পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন।