কাজী নাসির উদ্দীন সাতক্ষীরাঃসাতক্ষীরার কলারোয়ার যুগিখালী বাজারে আওয়ামী লীগের পথসভাস্থলে বোমা বিস্ফোরনের ঘটনায় বিএনপি সমর্থিত ভাইস–চেয়ারম্যান প্রার্থী রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে যুগিখালী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুন্সী মোফাজ্জেল হোসেন জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয় যুগিখালী এলাকায় স্থানীয় সংসদ সদস্য মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এর উপস্থিতিতে নির্বাচনী পথসভার পাশে তিনটি হাত বোমা বিষ্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় এরশাদ আলী নামের এক ব্যাক্তি রাতে চেয়ারম্যান রবিউল ইসলামকে প্রধান ও জ্ঞাত–অজ্ঞাত ৫২ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে, সদর উপজেলার আগরদাড়িতে জামায়াত–শিবিরের সাথে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।এ সময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ জামায়াত–শিবিরের তিন কর্মীকে আটক ও তিনটি মোটরসাইকেল, ৩০টি বাইসাইকেলসহ বিপুল পরিমান জিহাদী বই জব্দ করেছে। মঙ্গলবার রাত পৌনে ৮টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার জামায়াতের ক্যান্টনমেন্ট নামে খ্যাত আগরদাড়ি ইউনিয়নের ধলবাড়িয়া গ্রামের একটি বাড়িতে জামায়াত–শিবিরের গোপন বৈঠকে হানা দিলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আটক তিন ব্যক্তি হলেন– দেবহাটা উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের আবু মুছার ছেলে আরিফুল ইসলাম, শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া গ্রামের ওমর ফরুকের ছেলে আব্দুর রউফ ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলার রামেরডাঙ্গা গ্রামের সুবহান সরদারের ছেলে আকবার।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইনামুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সন্ধ্যার পরে ধলবাড়িয়ায় জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকের বাড়ির পাশে জামায়াত–শিবিরের গোপন বৈঠক হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জামায়াত–শিবিরের কর্মীরা উপুর্যপরি ককটেল নিক্ষেপ করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ ৫ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে জামায়াত–শিবিরের কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
এদিকে, কালিগঞ্জে সহিংতা সৃষ্টি মামলার আসামিরা ভোট চাইতে যেয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন। এ সময় এক জামায়াত কর্মীকে গণধোলাই দিয়ে জনতা পুলিশে সোপর্দ করেছে। মঙ্গলবার বিকেলে কালিগঞ্জ উপজেলার বাঁশতলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। বাঁশতলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিম জানান, জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান ছাত্রলীগ নেতা মামুন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। তিনি মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা নির্বাচনের গণসংযোগে বাঁশতলা বাজারে আসেন। তার সঙ্গে ছিলেন দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর সালাউদ্দিন, বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বন্দকাটি গ্রামের জামায়াত কর্মী খলিলুর রহমানসহ ৭/৮জন মুকুন্দপুর চৌমুহুনী এলাকায় সহিংসতা সৃষ্টির মামলার আসামি তার সঙ্গে ছিলেন। এ খবর পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য ও তাদের স্বজনরা বাঁশতলা বাজার থেকে সংঘবদ্ধ হয়ে তাদেরকে ধাওয়া করে গণধোলাই দেয়। গণধোলাই খেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পারুলগাছা বাজার থেকে খলিলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বন্দকাটি গ্রামের মোহর আলী গাজীর ছেলে খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় একটি সহিংসতার মামলা রয়েছে।