সরেজমিন ও বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গবাদী পশুর খাদ্য হিসেবে খড় না পাওয়ায় খাদ্যাভাবে গবাদী পশু রোগাক্রান্ত হয়ে পরছে। গো-চারণ ভূমিগুলো বিলুপ্তি হয়ে যাওয়ায় কাঁচা ঘাস, ধানের খড়ের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। সাধারণ কৃষকসহ গরুর খামারীরা তাদের পশুসম্পদ নিয়ে মহা সঙ্কিত ও দিশেহারা হয়ে পরেছেন। গো-খাদ্যের সংকটের কারণে ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে এলাকার অনেক খামার। খৈল, ভুসি, খড় ও কাঁচা ঘাসসহ গো-খাদ্যের অন্যান্য দ্রব্যের বাজারমূল্য অ¯^াভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় তা সংগ্রহ করতে তারা হিমশিম খাচ্ছেন। অন্যদিকে এসব খাদ্যের বিকল্প হিসেবে কচুরি পানা, বিভিন্ন গাছের লতা-পাতাসহ নানা অ¯^াস্থ্যকর খাদ্য গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করায় নানা রোগের আক্রান্ত হচ্ছে পশু সম্পদ। আর এতে করে পশুর চিকিৎসায় বাড়তি অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে তাদের। এসব কারণে কৃষকরা বাধ্য হচ্ছেন গবাদী পশু বিক্রি করে দিতে। গো-খাদ্য সংকটের কারণে অনেক কৃষক গরু পালন বন্ধ করে দিয়েছেন। একাধিক পশু পালনকারী জানান, গো-খাদ্য মূল্য বর্তমান বাজার এতোটাই চড়া যে এগুলো ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে গরুসহ গবাদী পশু নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। খাদ্য সংকটের কারণে গাভীর দুধও কম হচ্ছে বলে তারা জানান। ছোট ছোট করে বাঁধা এক মুঠি খড় কিনতে হচ্ছে তাদের ১শ’ থেকে ১২০ টাকা দিয়ে। তাতে একটি গরুর দু’দিনের খাবারের বেশি হচ্ছেনা। ফলে তারা নিরুপায় হয়ে নিতান্ত ¯^ল্পমূল্যে গবাদী পশু বিক্রি করে দিচ্ছেন।