শেখ হাসিনা বলেন, ধসে পড়া ভবনে এখনো উদ্ধারকাজ চলছে এবং এ ব্যাপারে তার সরকার প্রয়োজনীয় সবকিছুই করে যাচ্ছে। আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিত্সা সুবিধা দেয়া হচ্ছে এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী তদারক করছেন।
সাভারে উদ্ধারকাজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাড়াহুড়া করতে গেলে ক্ষতি হবে। তাড়াহুড়া করার উপায় নেই। তাহলে এখনো যারা বেঁচে আছে, তাদের বাঁচানো যাবে না। মাথা ঠাণ্ডা করে কাজ করতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, ভবনে ফাটল ধরায় সেটি ব্যবহার উপযোগী ছিল না । প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, যখন বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে মানুষ বেঁচে থাকার লড়াই করছে, তখন কিছু শ্রমিক নেতা এবং স্থপতিকে উদ্ধার কার্যক্রমের সহযোগিতায় না গিয়ে টকশোয় অংশগ্রহণে ব্যস্ত দেখা গেছে। টকশোয় কিছু স্থপতি ভবনধসের জন্য দায়ীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার এবং সব ভবন পরীক্ষা করে দেখার যে দাবি জানিয়েছেন, তার কঠোর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, এ মুহূর্তে জরুরি হচ্ছে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা এবং আটকে পড়া লোকদের জীবিত উদ্ধার করা।
তিনি বলেন, ‘বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ ভবন যথাযথভাবে বিল্ডিং কোড মেনে করা হচ্ছে না। এটাই বাস্তব। বুধবার সাভারে ভবনধসের পরে দেশব্যাপী আহূত হরতাল প্রত্যাহারের জন্য বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এ সিদ্ধান্তের কারণে উদ্ধার অভিযান সহজতর হয়েছে। বৈঠকের শুরুতে রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় নিহতদের পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও চার জাতীয় নেতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।