জি নিউজ ঃ- উপজেলা নির্বাচনের সময় নিজে দেশে থাকলেও সহিংসতা ও ভোট জালিয়াতি হতো বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ। সেই সঙ্গে নির্বাচনের সময় যদি কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটে তার দায়ভার কমিশন নেবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। গতকাল বুধবার বিকেল ৪টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের মিডিয়া সেন্টারে ষষ্ঠ ধাপে ১৪টি উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এমন মন্তব্য করেন। ষষ্ঠ দফার নির্বাচনে যদি কারো প্রাণহানির ঘটনা ঘটে তবে তার দায়ভার কমিশন নেবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, “মানুষের জীবন গেলে তার দায়ভার আমরা কেন নেব? তবে আমাদের যথেষ্ট পূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। নির্বাচনে আমরা বিজিবি, র্যাব, সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসার মোতায়েন করেছি। এরপরও যদি কেউ এসে কারো মাথায় লাঠি মেরে প্রাণহানি ঘটায় তার দায়ভার আমরা নেব না। যে মেরেছে তার বিচার হবে।তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, ষষ্ঠ ধাপে কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটবে না। উপজেলা নির্বাচনের মাঝপথে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ছুটিটা কতটুকু যৌক্তিক ছিল এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, “আমি বিদেশে থাকলেও নির্বাচন পরিচালনাকারী প্রতিটি বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে আমার সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল। উপজেলা নির্বাচনের পরিকল্পনা আমার উপস্থিতিতেই করা- কোথায় কীভাবে নির্বাচন হবে তা আমি আগেই নির্ধারণ করে গেছি। তারপরও যেসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে সেগুলো বিচ্ছিন্ন। এগুলো ঘটবেই, আমি উপস্থিত থাকলেও এসব ঘটতো। উল্লেখ্য, গত ৩ মার্চ মাসে চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের শুরুতেই দেড় মাসের দীর্ঘ সফরে সস্ত্রীক আমেরিকা যান কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ। তার অবর্তমানে নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল মোবারক সিইসির রুটিন দায়িত্ব পালন করেন। দেড় মাসের দীর্ঘ সফর শেষে ১৪ এপ্রিল তিনি দেশে ফিরে আসেন। অবশ্য সিইসির এ সময়ের সফর আলোচিত সমালোচিত হয় বিভিন্ন মহলে। এ নিয়ে ক্ষোভ ও বিস্ময়ও প্রকাশ করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা ও । এছাড়া সিইসির ছুটির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমামের ‘তিনি ক্লান্ত, তাই তিনি ছুটিতে গেছেন’ এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার কারো কাছে ছুটি নেয় না, তিনি নিজের ছুটি নিজেই নিতে পারেন।
উপজেলা নির্বাচনে আমি দেশে থাকলেও সহিংসতা ও ভোট জালিয়াতি হতো- সিইসি
Share This