জি নিউজঃ-বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ সরকারের আমলে এত উন্নয়নের পরও তিনি কোনো উন্নয়ন দেখেন না। এটা জাতির দুর্ভাগ্য। তিনি প্রতিনিয়ত জনগণের কাছে অসত্য তথ্য তুলে ধরছেন। এখন প্রতিনিয়ত ছয় হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে। মানুষ দুবেলা খেয়ে-পরে ভালো আছে। এসব উন্নয়ন যদি তাঁর চোখে না পড়ে তাহলে আমি তাঁকে বলতে পারি, চোখের ডাক্তারের কাছে যান বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারের উন্নয়নকাজের ফিরিস্তি দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইন-শৃংখলা উন্নয়নে সর্বাধিক গুরুত্ব অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে বর্তমান সরকারের সময়ে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি অনেক ভাল।তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যে জঙ্গীবাদ ও চরমপন্থীদের দমন সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি প্রতিরোধ, যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচারসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার বিচার নিশ্চিত করার জন্য নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।শেখ হাসিনা বলেন, আইন-শৃংখলা উন্নয়নে তালিকাভুক্ত ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মলম পার্টি ও অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের গ্রেফতার, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি প্রতিরোধ, মোবাইল ও সাইবার ক্রাইম দমনসহ নানা অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে। তিনি বলেন, এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আইন-শৃংখলা কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইন-শৃংখলা রক্ষা ও কতিপয় অপরাধ দমনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯ প্রণয়ন করা হয়েছে। এছাড়া ইভটিজিং রোধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে বিচারের জন্য সরকার মোবাইল কোর্ট আইনে দণ্ডবিধি ৫০৯ ধারা সংযোজন করেছে।এছাড়া শামসুর রহমান শরীফের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে দেশের বিদ্যুত্ উত্পাদন ক্ষমতা ২০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার মহাপরিকল্পনা হিসেবে রূপপুরে এক হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার পারমাণবিক বিদ্যুেকন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে গত ১৫ জানুয়ারি রাশিয়ার সঙ্গে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি সই হয়েছে। আগামী ২ অক্টোবর প্রকল্পটি উদ্বোধনের দিন ধার্য রয়েছে। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয় বিকেল ৫ টার পরে, তাঃ-১৮সেপ্টেম্বর ২০১৩