ঢাকা প্রতিনিধি,জি নিউজ :সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রথম ধাপে মালয়েশিয়াতে কর্মী পাঠানোর কথা থাকলেও নিরাপত্তা বিষয়ক ছাড়পত্র (সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স) না পাওয়ায় তা সম্ভব হচ্ছে না।
ছাড়পত্র পাওয়ার পর এপ্রিলের প্রথম অথবা দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে কর্মী পাঠানো শুরু হবে। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিএমইটির মহাপরিচালক শামছুন নাহার জানান, মালয়েশিয়া কর্মী পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।
মালয়েশিয়া সরকারের পক্ষ থেকে সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স পেলে কর্মী পাঠানো শুরু হবে। আগামী মাসের মধ্যেই এ ছাড়পত্র পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেই অনুযায়ী আগামী মাসের প্রথম অথবা দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে কর্মী পাঠানো সম্ভব হবে।
প্রসঙ্গত, লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত ১০ হাজার শ্রমিকের প্রথম দলটি নিয়ে ২৭ মার্চ মালয়েশিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার কথা ছিল। প্রথম ধাপে প্রায় তিনশ’ শ্রমিক পাঠানো বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
সূত্র জানায়, চলতি মাসেই মালয়েশিয়া সরকারের পক্ষ থেকে প্রথম ধাপে নির্বাচিত শ্রমিকদের ভিসা পাঠানো কথা। এরপর বাকি শ্রমিকদের পর্যায়ক্রমে পাঠানো হবে।
জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে বাংলাদেশে আসা মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের উপ-মহাসচিব মো. সাহার বি দারুসম্যানের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে যৌথ বৈঠকে ২৭ মার্চ প্রায় ৩শ’ শ্রমিক নিয়ে প্রথম ফ্লাইট মালয়েশিয়ার উদ্দেশে বাংলাদেশ ত্যাগ করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
ইতিমধ্যে প্রথম পর্যায়ের জন্য নির্বাচিত ১০ হাজার কর্মীর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে সরকারিভাবে বাংলাদেশ থেকে আরো ৬০ হাজার কর্মী নিতে মালয়েশিয়া সরকার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় মালয়েশিয়া যেতে অভিবাসন ব্যয় ৪০ হাজার টাকাই রয়েছে।
ঢাকা প্রতিনিধি/ জি নিউজ/বার্তা /২৮-০৩-২০১৩