এম.শাহজাহান চৌধুরী শাহীন,কক্সবাজার,৮ মার্চ বিষ পান করে আত্মহত্যা করেছে এক স্কুল শিক্ষক। কক্সবাজার সদরের ইসলামাবাদ ইউনিয়নে ৮ মার্চ শনিবার এ ঘটনা ঘটেছে। আত্মহননকারীর নাম মা: শহিদুল্লাহ (৪০)। তিনি সদরের পোকখালী হাই স্কুল সংলগ্ন কেজি স্কুলের সহকারী শিক্ষক। দীর্ঘদিন ধরে সে পারিবারিক দাম্পত্য জীবনে মানসিক চাপে ভূগছিল।
জানা যায়, কক্সবাজার সদর উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নে পাহাশিয়াখালী সিকদার পাড়ার মৃত আক্তার হোছাইনের পুত্র মা: শহিদুল্লাহ গত ৭ মার্চ শুক্রবার দিবাগত রাতে পরিবারের লোকজনের অগোচরে একাধিক ঘুমের ঔষধ সেবন ও বিষ পান করে। অবস্থা দেখে তার মা চিৎকার দিলে লোকজন এগিয়ে এসে মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে প্রথমে ঈদগাওস্থ ডাক্তারের কাছে এবং পরে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরিস্থিতি অবনতির দিকে ধাবিত হলে তাকে চট্ট্রগাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অতপর শনিবার ভোরে সেখানেই তিনি মারা যায়।
শনিবার ৮মার্চ সন্ধ্যায় ইসলামাবাদ সিকদার পাড়া জামে মসজিদ মাঠে নামাযে জানাযা শেষে পার্শ্ববর্তী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
প্রসংগত, শিক্ষক শহিদুল্লাহর সাথে ঈদগাঁও মাইজপাড়ার শাহেদা আক্তার নামক এক সরকারী প্রাইমারী স্কুল শিক্ষিকার বিয়ে হয়। বিয়ে পরবর্তী সময়ে ২ সন্তান জন্ম হয়। তবে দাম্পত্য বিরোধের কারণে তাদের সংসার ভেঙ্গে যায়। এ ব্যাপারে আদালতে মামলা চলছে। এনিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক শহিদুল্লাহ মানসিক রোগে ভূগছিলেন। সম্প্রতি একটু সুস্থ হওয়ার পর সে পোকখালী কে.জী স্কুলে বিপিএড শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। ইতোপূর্বে সে কক্সবাজার হাশেমিয়া মাদ্রাসায় বিপিএড শিক্ষক হিসেবে চাকুরীও করেছিলেন। আত্মহননকারী শিক্ষক জেলা রেফারী হিসেবেও সুনামের সাখে দায়িত্ব পালন করেছিল।