অনলাইন ডেস্কঃ- ভালোবাসার কোনো স্থানভেদ নেই। অনেকেই কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। আপনি সম্পর্কে জড়াতে পারেন যেমন আপনার বসের সঙ্গে, তেমনি জড়াতে পারেন অন্য কোনো পর্যায়ের সহকর্মীর সঙ্গেও। তবে এটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়। এ ধরনের সম্পর্কে জড়ানোর ফলে আপনার প্রফেশনাল জীবন হুমকির মুখোমুখি হতে পারে। এ বিষয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে হিন্দুস্তান টাইমস। যেসব কাজ করবেন-১. নিশ্চিত হয়ে নিন-আপনার যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই একটা ব্যাকগ্রাউন্ড পরীক্ষার প্রয়োজন আছে। এ থেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন সেদিকে আপনি এগোবেন কি না। এ ছাড়া অফিসে কোনো মেয়ে আপনাকে সারাক্ষণ চোখে চোখে রেখেছে দেখলেই ভাবতে যাবেন না যে, সে আপনার প্রেমে পড়েছে। এমনও হতে পারে হিউম্যান রিসোর্স বিভাগ থেকে আপনার কার্যক্রম দেখার জন্য তাকে বলা হয়েছে। কাজেই যেকোনো বিষয় ভেবে নেওয়ার আগে সাবধান।
২. সতর্ক হোন-অফিসে আপনার আচরণ অন্যদের মন থেকে সহজে মুছে যাবে না। তাই অফিসের কোনো পার্টিতে কাউকে ভালো লাগলেই তার সঙ্গে অন্তরঙ্গ হতে যাবেন না। কারণ বিষয়টি নিয়ে আপনার সহকর্মীরা পরবর্তীতে আলোচনা করলে তা আপনার ভালো নাও লাগতে পারে।
৩. সাবধানে হাঁটুন-অফিসের সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক যতো গোপন রাখার চেষ্টা করুন না কেন, আপনি সব সময়ই তাতে ধরা পড়বেন। আর একে কোনো ভালো বিষয় হিসেবে প্রতিষ্ঠান দেখবে না। এতে আপনার মানসিক শান্তি যেমন নষ্ট হবে, তেমন প্রফেশনাল বিষয়গুলোও হুমকির মুখে পড়বে। প্রতিষ্ঠানের ই-মেইল ব্যবহার করে কোনো ব্যক্তিগত যোগাযোগ করবেন না। কারণ প্রতিষ্ঠানের অন্য ব্যক্তিরা চাইলে সেগুলো দেখতে পারে। এ ছাড়া সম্পর্ক ভাঙলেও তা নিঃসন্দেহে সমস্যা তৈরি করবে।৪. নিশ্চিত হয়ে নিন যে, আপনি একা-অফিসে কোনো একটি কেলেঙ্কারি বাধালে তাতে শুধু আপনি আছেন, এটা নিশ্চিত করুন। আপনার প্রতিষ্ঠান, সহকর্মী ও বন্ধুদের তা থেকে দূরে রাখুন। আপনি যদি এ সম্বন্ধে নিশ্চিত না হন, তাহলে আরও সময় নিন। আপনার পেশাদারিত্ব বজায় রাখুন।
৫. প্রস্তুতি নিন-অফিসে ডেটিং করা কোনো আইনবিরুদ্ধ কাজ নয়। কিন্তু বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এর বিরুদ্ধে পলিসি তৈরি করে। এ কারণে আপনি যদি অফিসের কারও সঙ্গে তা করার চিন্তা করেন তাহলে আপনার প্রতিষ্ঠানের নিয়মগুলো দেখে নিন।
যা করবেন না-১. বিবাহিত কারও সঙ্গে সম্পর্ক-এমন কারো সঙ্গে যদি রোমান্টিক সম্পর্ক তৈরি করেন, যে কিনা আগে থেকেই বিবাহিত তাহলে আপনি নিঃসন্দেহে বিপদের মুখে পড়বেন। এ ছাড়াও আপনাকে এড়িয়ে চলতে হবে অন্য কারো সঙ্গে সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ ব্যক্তিদের। অন্যথায় তা কর্মক্ষেত্রে যোগ করবে ব্যাপক নাটকীয়তা, যা কোনোক্রমেই ভালো হবে না।
২. অসামাজিক হয়ে যাওয়া-অফিসে কারো সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার পর প্রতিদিন সকালে তাড়াহুড়ো করে কর্মক্ষেত্রে চলে যাওয়া, একসঙ্গে দুজনের মধ্যাহ্নভোজ করা, কাজ শেষে নীরবে অফিস ত্যাগ করা, দুজনের বাইরে কারো সঙ্গে কথাবার্তা না বলা, এসব অন্য সহকর্মীদের কাম্য নয়। এমন দম্পতিদের অন্যরা অসামজিক হিসেবেই গণ্য করবে। এ কারণে অফিসের কার্যক্রমের সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবন মিলিয়ে ফেলা উচিত নয়। উভয়কে কিছুটা দূরত্বে রাখতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়।
৩. বহু মানুষের আলোচনা বিষয় হওয়া-কর্মক্ষেত্রে বহু মানুষ আছে যারা অন্যের বিষয়ে আলোচনা করতে বেশ আনন্দ পায়। এ বিষয়টি আপনার পছন্দ হোক আর না হোক, কোনো ঘটনা ঘটালে আপনি এর অংশ হয়ে যাবেন। রণবীর-ক্যাটরিনার মতো আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠতে না চাইলে আগে থেকেই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে এবং সম্পর্কের বিষয়টি অফিসের লোকজনকে জানানো যাবে না। ৪. অফিসে অন্তরঙ্গ হওয়া-কর্মক্ষেত্রে আপনার সঙ্গীর সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটানো হলে তার সঙ্গে অন্তরঙ্গ হওয়ার ইচ্ছা আপনার হতেই পারে। কিন্তু তাই বলে ভুলেও এ ধরনের কাজ করতে যাবেন না। কর্মক্ষেত্রে আপনাদের দিকে নজর রেখেছে বহু মানুষের চোখ। অনেক অফিসে সিসিটিভিও লাগানো আছে। কাজেই সময় থাকতে সাবধান। যতোই প্রেম করুন, অফিসে অন্তরঙ্গ হতে যাবেন না।
৫. বেশভূষায় ভালোবাসা প্রকাশ-আপনি যদি অফিসের কলিগদের কাছ থেকে নিজের সম্পর্কবিষয়ক কথাবার্তা গোপন করতে চান, তাহলে নিজের বেশভূষার দিকে নজর দিন। এগুলো অতিরিক্ত চাকচিক্যময় করা যাবে না। অফিসের রীতি অনুযায়ী পোশাক পরুন। অফিস শেষে আপনি একটি ডেটিংয়ে যাবেন, বিষয়টি অফিসের সবাইকে জানানোর কোনো প্রয়োজন নেই। সূত্র-ইন্টারনেট।