কাজী নাসির উদ্দীন, জি নিউজ ঃ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে বিএসটিআই’র কর্মকর্তা পরিচয়ে বেকারী থেকে চাঁদা আদায়কালে জনতার সহায়তায় পুলিশ পাঁচ প্রতারককে আটক করেছে। বুধবার রাতে উপজেলার নলতা ইউনিয়নের সোনাটিকাটী এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো ঝিনাইদাহ উপজেলার নান্দুলিয়া গ্রামের আক্তার আলীর ছেলে আশরাফুল আলম (৩৫), নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্যা উপজেলার উত্তর পুলিশ লাইন এলাকার মৃত মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে পারভেজ (৪০), একই উপজেলার পঞ্চবডি গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪১), ফতুল্যার খোকন হোসেনের ছেলে বাপ্পী (২৪), উত্তর মাজডাউর এলাকার আব্দুর রবের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪০)।
কালিগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেকেন্দার হোসেন জানান, আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে আট ব্যক্তি গত মঙ্গলবার শ্যামনগরের বংশীপুর ক্লিনিকে যেয়ে বিএসটিআই’র কর্মকর্তা পরিচয়ে ব্যবস্থা নেয়ার ভয় দেখিয়ে অর্থবাণিজ্য করে। এরপর বুধবার কালিগঞ্জ কলেজ রোডে অবস্থিত ঝরর্ণা ক্লিনিক থেকেও ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়। তারা বিকেল ৬ টার দিকে সোনাটিকাটী এলাকার বাচ্চুর মালিকানাধীন ‘সাগর’ বেকারীতে বিএসটিআই কর্মকর্তা পরিচয়ে অভিযান চালিয়ে এর লাইসেন্স দেখতে চায়। বেকারী কর্তৃপক্ষ লাইসেন্স দেখাতে ব্যর্থ হলে প্রতারকরা কর্তৃপক্ষের নিকট অর্থ দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় ৩ প্রতারক ওই বেকারীর কিছু মালামাল জব্দ করে মাইক্রোযোগে পেট্রোল নিয়ে আসার কথা বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরবর্তীতে বাকি ৫ প্রতারক একই এলাকার আব্দুল গফফারের মালিকানাধীন ‘মিলন বেকারী’ তে অভিযান চালাতে গেলে এর মালিকসহ স্থানীয় এলাকাবাসী ওই ৫ জনের পরিচয়পত্র দেখতে চায়। এসময় তারা বিভিন্ন প্রকার অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকলে জনতা তাদেরকে আটক করে গনধোলাই শেষে থানায় সোপর্দ করে। বুধবার রাতে থানার এসআই সেকেন্দার হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ ভুয়া ৫ প্রতারককের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানাগেছে, প্রতারক চক্রের এই দলটি বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করে আসছিল বলে সংশিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।