জি নিউজ বিডি ডট নেট ঃ- ব্যাংকে কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা গত পাঁচ বছরে বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। অন্যান্য সম্পদ হিসাব করলে কোটিপতির সংখ্যা আরো বেশি হবে, বলছেন বিশ্লেষকরা। তবে তাদের এ আয়ের বৈধতা এবং এর ফলে সুষম উন্নয়ন হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।বাংলাদেশে কোটিপতির সংখ্যা কত, এ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তবে বিতর্ক যাই থাকুক না কেন, প্রতিবছর এ সংখ্যা বাড়ছে। দেশ স্বাধীন হবার আগে মাত্র ২২ পরিবারকেই কোটিপতি হিসেবে ধরা হতো। ১৯৭৫ সালে বিভিন্ন ব্যাংকে যাদের হিসাব ছিল, তাদের মধ্যে কোটিপতি ছিলেন মাত্র ৪৭ জন। ২০০৯ সালে সে সংখ্যা দাঁড়ায় ২৩ হাজার ১৩০ জনে। ২০১৩ সাল শেষে এক থেকে ৫০ কোটিরও বেশি টাকার হিসাবধারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৬ হাজারেরও বেশি। পাঁচ বছরে এ সংখ্যা হয়েছে দ্বিগুণ।বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যাংকে নগদ টাকা না থাকলেও জমি, বাড়ি-গাড়ি ও ব্যবসায়ের মূলধন হিসেব করলে কোটিপতির সংখ্যা আরো বেশি। তবে তারা বৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জন করেছে কিনা, সে বিষয়ে তদন্ত হওয়া উচিত বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।বিশ্লেষকদের মতে, আর্থিক সম্পদ বৃদ্ধির কারণেই দেশের মাথাপিছু আয় এখন হাজার ডলারেরও বেশি। তবে কোটিপতির সংখ্যা বাড়লেও সুষম উন্নয়ন হচ্ছে না বলে মনে করেন তারা।আমানতকারীর আয়ের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, বৈধ উপায়েই সম্পদ অর্জন করছেন কোটিপতিরা। সূত্র: ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন।