নির্বাচনকালের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হবে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে। তাদের দিক-নির্দেশনায় নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন জাতিকে উপহার দেবে বলে বিদেশী কূটনীতিক ও উন্নয়ন সহযোগীদের আশ্বস্ত করেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপুমনি। সেখানে হেফাজতে ইসলামের সামপ্রতিক কর্মকাণ্ড, বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন ১৮দলীয় জোটের আন্দোলন সংগ্রাম, রাজপথের সহিংসতা, প্রধানমন্ত্রীর সংলাপ আহ্বানের
জবাবে বিরোধী নেত্রীর ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটামের সমালোচনা এবং আগামী নির্বাচন প্রশ্নে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের ঐকমত্যে পৌঁছানোর আহ্বানের বিষয় স্থান পায়। সূত্র জানায়, একজন রাষ্ট্রদূত সামপ্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাতে বিদেশী মিশনগুলোর সক্রিয় করার পরামর্শ দেন। অন্য একজন গার্মেন্টস রফতানি ২০ ভাগ হ্রাস পাবে বলে আশঙ্কা করেন। এক সপ্তাহের সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপুমনি- গতকাল রাতেই ঢাকা ছেড়েছেন। আগামীকাল জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে তার বৈঠক হবে। এদিকে গত দু’দিন ধরে ঢাকায় আছেন জাতিসংঘের রাজনীতি বিভাগের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো।
আসন্ন নির্বাচন নিয়ে বক্তৃতায় মন্ত্রী তার সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন, আদালতের রায়ে এবং দীর্ঘ সংসদীয় প্রক্রিয়ায় নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধান থেকে বাদ পড়েছে। তা আর ফিরিয়ে আনার সুযোগ নেই ।
আগামী নির্বাচন প্রশ্নে সংলাপের বিকল্প নেই উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপুমনি বলেন, বিরোধী দল তাদের আহ্বানের জবাবে আলটিমেটাম দিচ্ছে। তারা বিভিন্ন ধরনের উস্কানি দিচ্ছে। সংলাপের আহ্বানে বিরোধীরা যত দ্রুত সাড়া দেবে, সহিংসতা থেকে তত তাড়াতাড়ি মুক্তি পাওয়া যাবে বলে দাবি করেন ডা. দীপুমনি। আসন্ন নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতাকে সরকার স্বাগত জানাবে এবং সব সময় দরজা উন্মুক্ত থাকবে বলেও অঙ্গীকার করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। দেড় ঘণ্টার ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র সচিব (ভারপ্রাপ্ত) মো. শহীদুল হক উপস্থিত ছিলেন ।