অনলাইন ডেস্ক :- ১টির বেশি উইকেটের পতন হতে দেননি ইমরুল কায়েস ও শামসুর রহমান,চট্টগ্রামে স্বাগতিক বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে ক্যারিয়ার সেরা ৩১৯ রান করার পাশাপাশি ১১,০০০ রানের ক্লাবে প্রবেশ করেছেন শ্রীলঙ্কার টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যান কুমার সাঙ্গাকারা। ফলে বুধবার খেলার দ্বিতীয় দিনেই এ টেস্টের নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিয়েছে সফরকারীরা। প্রথম টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে জয়ী শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস শেষ করেছে ৫৮৭ রানে। এরপর বাংলাদেশ দিন শেষ করেছে ১ উইকেটে ৮৬ রান করে। বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান সাঙ্গাকারার এটি ছিল প্রথম তিন শতাধিক রান। তবে তিনি দুই শতাধিক রান করলেন নবমবারে মতো। এর মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ক্রিকেটার ডন ব্রডম্যানের পরেই অবস্থান করে নিলেন সাঙ্গাকারা। ব্রডম্যান ২০০ বা তার চেয়ে বেশি রান করেছিলেন ১২বার। এ ছাড়া, ৩৬ বছর বয়সী সাঙ্গাকারা ক্যারিয়ারের ১২২তম টেস্টে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১১,০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। ১১ হাজারের বেশি রান করাদের তালিকার শীর্ষে রয়েছেন ভারতের সচিন টেন্ডুলকার। তার রান ১৫,৯২১। এ সম্পর্কে বুধবার সাঙ্গাকারা বলেছেন, “একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে আপনি সব সময় বড় স্কোর করতে চাইবেন। ১০০, ২০০, ৩০০ এমনকি ব্রায়ান লারার থলেতে রয়েছে ৪০০ রানের ইনিংস। এগুলো হচ্ছে এমন কিছু মাইলফলক ক্রিজে থাকার সময় যা অতিক্রম করার ইচ্ছা জাগবে আপনার। কাজেই আমি অন্তত ৩০০ রান সংগ্রহকারীদের কাতারে শামিল হতে পেরে আনন্দিত।” সিংহলিজদের সাবেক এ অধিনায়ক বলেন, তার পরবর্তী লক্ষ্য হবে- শীর্ষস্থানীয় টেস্ট দলগুলোর বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কাকে স্বাচ্ছন্দ্যে খেলার মতো যোগ্য করে তোলা। শ্রীলঙ্কার প্রায় ছয়শ’ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমেই নির্ভরযোগ্য উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবালকে হারায় বাংলাদেশ। সুরঙ্গ লাকমালের করা ইনিংসের চতুর্থ বলেই পরিষ্কার বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি। তবে শামসুর রহমান (অপরাজিত ৪৫) ও ইমরুল কায়েস (অপরাজিত ৩৬) দিন শেষে ৮৬ রানে অপরাজিত থেকে প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠেন। অবশ্য দুই ব্যাটসম্যানই ভাগ্যবান যে, তাদের তুলে দেয়া ক্যাচ ফেলে দিয়েছেন লঙ্কান ফিল্ডাররা। ব্যক্তিগত ৩৬ রানের মাথায় শামসুর রহমানের একটি কঠিন ক্যাচ ফেলে দিয়েছেন মাহেলা জয়াবর্ধনে এবং খেলা শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে নুয়ান প্রদীপ ইমরুল কায়েসের একটি সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করেন। চট্টগ্রাম টেস্টের এখনও তিন দিন বাকি এবং ২-০তে সিরিজ হার এড়াতে হলে তাদেরকে এই তিন দিনের একটা বড় অংশ জুড়ে ব্যাট করতে হবে। ফলো-অন এড়াতে তাদের প্রয়োজন ৩৮৮ রান। অর্থাৎ, বৃহস্পতিবার ফলো-অন এড়াতে বাংলাদেশকে আরো ৩০২ রান করতে হবে। সূত্র- রেডিও তেহরান #