ডেস্ক রিপোর্ট , জিনিউজ : আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিরোধী দল উন্মাদ হয়ে গেছে। তারা মানুষ হত্যা করছে, রেললাইন উপড়ে ফেলছে, বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুড়িয়ে দিচ্ছে, গাড়ি পোড়াচ্ছে। তারা যা করছে তা কোনো সুস্থ মানুষ করতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে প্রধানমন্ত্রীর সরকারী বাসভবন গণভবনে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা কর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি বিরোধী দলীয় নেতাকে বলছি, যতই মানুষ হত্যা করেন, অরাজকতা সৃষ্টি করেন; যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে পারবেন না। আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছি, শেষও করবো। প্রসঙ্গত ২০১১ সাল থেকে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শুরু হওয়া তৃণমূল নেতা কর্মীদের সঙ্গে ধারাবাহিক মতবিনিময়। তারই অংশ হিসেবে এ সভার আয়োজন করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিমের সঞ্চালনায় এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফর উল্লাহ, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। এছাড়াও সংশিষ্ট জেলা প্রশাসক, উপজেলা, থানা, পৌর ও ইউনিয়ন শাখার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, দল সমর্থিত উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের জেলা ও উপজেলা শাখার শাখার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকরা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার মোহে ও যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে বিএনপি জামায়াত গণবিরোধী কর্মকাণ্ড শুরু করেছে। তিনি বলেন, গরিব মানুষ ভালো থাকলে অনেকের ভালো লাগে না। বিরোধী দলীয় নেতারও ভালো লাগে না।তিনি চান ক্ষমতায় থেকে পরিবার নিয়ে লুটপাট করে খেতে। ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগে নেতা কর্মীদের ওপর হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা যেন আর কোথাও এমন নৈরাজ্য করতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।তারা যেন কোথাও এ ধরনের অরাজকতা সৃষ্টি করার আগে মসজিদের মাইক ও মাদ্রাসা ব্যবহার করতে না পারে সে ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশে বিদ্যুতের হাহাকার ছিলো। আমরা ক্ষমতায় এসে সমস্যার সমাধান করেছি। সেখানে বিএনপি জামায়াত আন্দোলনের নামে বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুড়িয়ে দিচ্ছে। তিনি বলেন, তারা রেললাইনের ফিসপ্লেট তুলে দিয়ে মানুষ হত্যার চেষ্টা করেছে। ট্রেনে প্রায় এক হাজার মানুষ ছিল। চালক যদি সর্তক না থাকতো তাহলে মানুষগুলো মারা যেতো। কোন সুস্থ মানুষ এটা করতে পারে? আর এসব তারা কাদের জন্য করছে! ওই যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য। তারা বাস, সিএনজিতে আগুন দিচ্ছে। ড্রাইভারকে পুড়িয়ে মারছে। সাধারণ মানুষ যে সব যানবাহনে চলাচল করে তারা সেসব যানবাহনেই আগুন দিচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিরোধী দল উন্মাদ: প্রধানমন্ত্রী
Share This