অনলাইন ডেস্ক:- সম্প্রতি খুলনার পাইকগাছায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ১৩ বনদস্যু নিহতের ঘটনায় খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে ছিল মিশ্র প্রতিক্রিয়া।ঈদের আগের দিন একই সময় এত লোকের ক্রসফায়ারের ঘটনায় কেউ কেউ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেও সুন্দরবন উপকূল এলাকার মানুষের মধ্যে এখনও আতঙ্ক কাটেনি। পুলিশের দাবি, তারা বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। কিন্তু নিহতের পরিবারের সদস্যদের দাবি, বন্দুকযুদ্ধে নয় তাদের স্বজনদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তাদেরকে ধরে প্রথমে পিটিয়ে আধা মরা করা হয়েছে, পরে পুলিশ বন্দুকযুদ্ধের নাটক সাজিয়ে বাকি কাজ শেষ করেছে।
স্থানীয় সাংবাদিক নজরুল ইসলাম রেডিও তেহরানকে জানান, প্রথম ঘটনা রাত সাড়ে তিনটায় এবং দ্বিতীয় ঘটনা সকাল সাড়ে দশটায় ঘটে। স্থানীয় সোর্স তাদেরকে জানায়, এলাকায় ধরা পড়া ২ বনদস্যু গণপিটুনিতে মারা গেছে। বাকিদের নিয়ে পুলিশ অস্ত্র উদ্ধারে বের হয়েছে। পরে জানা যায়, এনকাউন্টারে বাকি ১১জন মারা গেছে। এ নিয়ে পুলিশ প্রশাসন থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সেখানে জেলা প্রশাসক, পুলিশের ডিআইজি, এসপিসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) –এর খুলনা জেলার সভাপতি অধ্যক্ষ জাফর ইমাম রেডিও তেহরানকে বলেন, খুলনা অঞ্চলে কাছ থেকে গুলি করে হত্যার ঘটনা নতুন নয়। ১৩জনকে হত্যার ঘটনাও সে রকমই মনে হয়েছে। আর ঘটনাস্থলে দু’জন নিহত হয়েছে, বাকি ১১জনকে নিয়ে যাওয়া হলো অস্ত্র উদ্ধারের জন্য। পুলিশ দাবি করছে, অভিযানকালে পুলিশের ওপর দস্যুদের সঙ্গীরা আক্রমণ করলে পাল্টা গুলির ঘটনা ঘটে। কিন্তু মারা গেলো ধরে নিয়ে যাওয়া ওই ১১জনই, অন্য কেউ নয়। তাই পুলিশের বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয় বলেই মনে করেন তিনি। পুলিশের হাতে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ১৩ জনের ১০জনই খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার বাসিন্দা। এলাকাবাসী জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিল প্রধান দু’টি রাজনৈতিক দল বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের সদস্য। এরা এলাকায় সাধারণভাবে চলাফেরা করতো। এদেরকে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক দলের মিছিল-মিটিংয়ে অংশ নিতে দেখেছেন অনেকেই।খবর:রেডিও তেহরান,জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গেও তাদের ঘুরতে দেখা গেছে। জাফর ইমাম বলেন, এরা অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকতেই পারে। এজন্য আইন আছে, বিচার আছে। তাই বিনা বিচারে এভাবে হত্যা গ্রহণযোগ্য নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
খুলনায় ১৩ বনদস্যু নিহতের ঘটনায়, স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া: পুলিশের দাবি অগ্রহণযোগ্য
Share This