জি নিউজ বিডি ডট নেট ঃ- পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কসহ সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চের ঢাকায় হাইকমিশন অভিমুখী বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বেধড়ক লাঠিপেটা করেছে পুলিশ। রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে পাকিস্তান হাইকমিশন ঘেরাও কর্মসূচি পালনকালে পুলিশ লাঠিপেটা করে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার পুলিশের দুই দফা পিটুনিতে আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে অন্তত আটজনকে আটক করে নিয়ে গেছে পুলিশ। গণজাগরণ মঞ্চ গতকাল বুধবার কয়েক দফা পুলিশি বাধা পেরিয়ে পাকিস্তানের ঢাকার হাইকমিশন ঘেরাও করে। ঘেরাও কর্মসূচি শেষে এক সমাবেশে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক অস্থায়ীভাবে ছিন্ন করার দাবি জানানো হয়। আর এই দাবি পূরণের জন্য তাঁরা আজ বেলা তিনটা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। দাবি আদায় না হওয়ায় তাঁরা আজ বেলা তিনটার দিকে পূর্বঘোষিত ঘেরাও কর্মসূচি শুরু করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা তিনটার দিকে গুলশান-২ নম্বর চত্বরে পুলিশ বক্সের কাছে গণজাগরণ মঞ্চের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি শুরু হয়। সোয়া তিনটার দিকে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সেখানে গিয়ে লাঠিপেটা করে মঞ্চের কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এর আগে থেকেই গুলশান-২ নম্বর চত্বরে পুলিশ বক্সের কাছে ব্যারিকেড দেয় পুলিশ। সাঁজোয়া যান, জলকামান ও প্রিজন ভ্যান নিয়ে প্রস্তুত ছিল পুলিশ। প্রথম দফায় পুলিশের লাঠিপেটায় আহত হওয়ার পর ইমরান এইচ সরকার বলেছিলেন, ‘স্বাধীন দেশে পুলিশ কেন এমন উন্মত্ত আচরণ করছে, তা বুঝতে পারছি না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই অবস্থান করছিলাম। কিন্তু পুলিশ যেভাবে আমাদের ওপর চড়াও হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে পুলিশের গাড়িতে তোলার সময় বন্দুকের নল দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। কর্মসূচি পালনে বাধা দেওয়া সম্পর্কে পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক শাহাবুদ্দীন বলেন, এটি স্পর্শকাতর এলাকা। এখানে অনেকগুলো বিদেশি দূতাবাস আছে। তবে কতজনকে আটক করা হয়েছে, তিনি তা জানাননি। উল্লেখ -একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় ১২ ডিসেম্বর রাত ১০টা ১ মিনিটে কার্যকর করা হয় । তাঃ- ১৯ডিসেম্বর ২০১৩
গণজাগরণ মঞ্চের ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিপেটা
Share This