সোহেল রানা, বিশেষ প্রতিনিধি গাইবান্ধা ঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে আ’লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগ, নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বাড়ি-গাড়ি-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন। অন্তত: ৫ কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি। শহিদুল নামে এক ব্যক্তি অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরের খবর ছড়িয়ে পড়লে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীসহ ৫ সহস্রাধিক সমর্থক রাজপথে এসে অবস্থান নেয়। এসময় তারা ফাঁসি বন্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে এবং ব্যাপক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে তারা আ’লীগ নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে খুজতে থাকে। তাদের না পেয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পলাশবাড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আ’লীগ যুগ্ম সাধারন সম্পাদক একেএম মোকেছদ চৌধুরীর শহরের প্রফেসর পাড়ার বাসায় হামলা চালিয়ে একটি প্রাইভেট কার ও একটি সরকারী গাড়িতে আগুন দেয়। পর্যায় ক্রমে তারা আ’লীগ সভাপতি তোফাজ্জল হোসেনের বাসায় হামলা চালিয়ে বাসা ভাঙচুরসহ একটি মোটর সাইকেলে আগুন দেয়। গৃধারীপুর গ্রামে যুবলীগ নেতা আবু মুসা সুমন, ছাত্রলীগনেতা আশিকুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ সভাপতি শেখ সামসুজ্জোহার হিটু, ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক অলক কুমার, বাসায় ভাংচুর করে। ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবু বক্কর ও উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মেহেদী আসাদ রাসেলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর করে। পরে শহরের দক্ষিণবন্দর স্টান্ডে দুটি মোটর সাইকেলসহ ছাত্র’লীগ কর্মী মনিরের প্রতিভা ক্যাবলস্ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক গোলাম সরোয়ার বিল্পবের জামালপুর গ্রামের বাড়িতে ও উপজেলা ¯স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম মন্ডলের রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক সংলগ্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ছাত্রলীগ নেতা সুজনের মহদীপুর ইউপির গাড়ানাটা গ্রামের বাড়িতে আগুন দিয়ে ভস্মিভূত করে। এ সময় ওই গ্রামের মৃত-নজির হোসেনের পূত্র শহিদুল ইসলাম মাস্টার আগুন নেভাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের সহকারী উপ-পরিচালক কোবাদ আলীর নেতৃত্বে একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন। এদিকে একই ইউপির পারবর্তীপুর গ্রামের উপজেলা আ’লীগ সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ সাইফুলার রহমান তোতা চৌধুরীর বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এদিকে গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কের গাছ কেটে সড়ক অবরোধ করে রেখেছে অবরোধকারীরা। ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের ব্র্যাক এলাকা হতে সাথী সিনেমা হল পর্যন্ত প্রায় ৩কি:মি: সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করে রেখেছে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। অপরদিকে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিনবন্দর বাসষ্টান্ডে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে যুবদল কর্মীরা ও জুনদহ এলাকায় জামায়াত-শিবিরকর্মীরা অবরোধ করে রেখেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা। তবে আ’লীগ নেতাকর্মীরা গা ঢাকা দিয়েছে। পলাশবাড়ী থানার ওসি নাসির উদ্দিন মন্ডল জানান, শহরে আইন শ্ক্সৃখলা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।