জি নিউজ বিডি ডট নেট, গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সাঘাটা, ফুলছড়ি, গাইবান্ধা সদর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের ১শ ৬৫টি নদীবেষ্টিত চরাঞ্চলে এবার বিশেষ জাতের স্বল্পমেয়াদী বন্যাসহিষ্ণু বিনা-১১ ধান চাষ করা হয়েছে। যা চরাঞ্চলের দরিদ্র কৃষকদের খাদ্য সংকটসহ মঙ্গা নিরসন ভূমিকা রেখেছে।
উলে¬খ্য জেলার তিস্তা, ঘাঘট, করতোয়া, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, নলেয়া, মানস, বাঙালি, সারাই ও আখিরা নদীর মোট আয়তন প্রায় ১০৭ দশমিক ৭১ কিঃ মিঃ। ফলে জেলার নদীতীরবর্র্তী নিচু এলাকাসহ চরাঞ্চলের জমিগুলোতে বছরে মাত্র একটি ফসল ইরি-বোরো ধান উৎপাদন হয়। আমন মৌসুমে অতিবৃষ্টি কিংবা বন্যার কারণে এই জমিগুলো থাকে পানিতে নিমজ্জিত। উত্তরাঞ্চলে বর্ষা মৌসুমে বিশেষ করে ভাদ্র মাসে এক নাগাড়ে বৃষ্টি হওয়ার ফলে বন্যায় আমন ধানের উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। অথচ এসময় নতুন করে আমন ধানের চারা রোপন করার সময় থাকেনা। ফলে আšর্—জাতিক ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (ইরি) সহযোগিতায় আরডিআরএস এবছর চরাঞ্চলে বন্যা সহিষ্ণু স্বল্পমেয়াদী বিশেষ জাতের বিনা ধান-১১ বীজ কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করেন।
আরডিআরএস বাংলাদেশ গাইবান্ধা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: ছাইফুল ইসলাম জানান, বন্যা প্রবণ গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্যাসহিষ্ণু বিনা ধান-১১ প্রায় ৩শ ৪০ বিঘা জমিতে চাষ করা হয়েছে। এই ধানের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে প্রতি বিঘায় চারা রোপনের জন্য ৫ কেজি বীজের প্রয়োজন হয়। সর্বোচ্চ ১০ থেকে ২০ দিন পর্যš— ধানের গাছ পানির নিচে ডুবে থাকলেও তা নষ্ট হয় না। বন্যার পানি নেমে গেলে এই জাতের ধানের গাছ পুনরায় ¯স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে এবং কাংখিত ফলন দেয়।
ফুলছড়ির উড়িয়া ইউনিয়নের কৃষক আফছার আলী এবার ১ বিঘা জমিতে এই জাতের ধান চাষ করেছেন। তিনি বলেন, প্রতিবছর বন্যায় তার জমির ধান ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং একাধিক বার চারা রোপন করতে হয়। কিন্তু বন্যাসহিষ্ণু বিনা ধান-১১ চাষ করার ফলে তার ফসলী জমি ১৭ দিন বন্যার পানিতে ডুবে থাকা সত্বেও তার জমির ধানের কোন ক্ষতি হয়নি। ধান কর্তন করে তিনি বিঘা প্রতি ১৪ দশমিক ৪ মণ ধান পেয়েছেন। তিনি উলে¬খ করেন, চারা রোপনের ১শ দিনের মধ্যে ওই জাতের ধান ঘরে তোলা সম্ভব হয়।