গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃভোট কেন্দ্র এবং ব্যালট ও ভোট বাক্সে অগ্নিসংযোগ, সহিংসতাসহ নানা কারণে গাইবান্ধা জেলায় ৫টি আসনের মধ্যে ৪টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও ২১৮টি কেন্দ্রে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। এরমধ্যে ৩টি আসনের ২০৬টি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত হওয়ায় এসব কেন্দ্রে পুন: নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে ৯৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২টি কেন্দ্রে নির্বাচন স্থগিত থাকলেও এ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাহাবুব আরা বেগম গিনিকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে বিনা প্রতিদ্ব›দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাড. ফজলে রাব্বি মিয়া। জেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে ১০৯টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৫৪টি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচন স্থগিত হয়। যে ৫৫টি কেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তাতে মঞ্জুর“ল ইসলাম লিটন (নৌকা) ৪৫ হাজার ৩৮৩ ভোট, কর্ণেল (অব:) আব্দুল কাদের খান (জাপা) ৫ হাজার ৯৫৮ ভোট।
গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ি) আসনে ১৩০টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৮০টি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচন স্থগিত হয়। ৫০টি কেন্দ্রে ডা: ইউনুস আলী সরকার (নৌকা) ৭০ হাজার ৬৬৪ ভোট ও এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি (স্বতন্ত্র) ১২ হাজার ৭৮১ ভোট। স্থগিত কেন্দ্রগুলোতে মোট ভোটার সংখ্যা হচ্ছে ২ লাখ ২৪ হাজার ৩০২ জন।
গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনে ১৩০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৭২টি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত হয়। এসব কেন্দ্রের মোট ভোটার হচ্ছে ২ লাখ ৭৭ জন। ৫৮টি ভোট কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ পেয়েছেন ৫৯ হাজার ৮৬২ ভোট ও প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন চৌধুরী (নৌকা) ১৮ হাজার ৮০৬ ভোট।
জেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনের অনুমোদনক্রমে ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যেই স্থগিত ভোট কেন্দ্র সমুহে একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।