অনলাইন ডেস্কঃ- নানা রকম গাছ-গাছালি-লতা-পাতায় অনেকেই অ্যালার্জিতে ভোগেন। একটি জরিপে দেখা যায়, ৩৫ মিলিয়ন আমেরিকানের এ ধরনের অ্যালার্জির কারণে জ্বর বা পলেন অ্যালার্জি হয়ে থাকে। চিকিৎসকরা বলেন, সাধারণত গাছে নতুন পাতা গজানোর সময় অর্থাৎ বসন্তকালে এসব অ্যালার্জি দেখা দিলেও সারা বছরই এর ব্যাপ্তি রয়েছে। এসব অ্যালার্জি ভয়ঙ্কর অবস্থাতেও চলে যেতে পারে। এর জন্য রীতিমতো রক্ত পরীক্ষা করে অ্যালার্জির ধরন চিহ্নিত করে নিতে হয়।যারা গাছপালা ভালোবাসেন বা বাসা-বাড়িতে টবে গাছ লাগিয়ে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করতে ভালোবাসেন তাদের প্রায়ই অ্যালার্জিঘটিত সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের দেশেও সম্প্রতি বিদেশি নানা গাছ ও ঘাসজাতীয় উদ্ভিদ মানুষ বাসা-বাড়ি ও অফিসে ব্যবহার করেন। নিচে ছবির মাধ্যমে অ্যালার্জির উদ্রেক করে এমন কিছু গাছের কথা জানানো হলো।শীতের পর পরই এবং বসন্তের শুরুতে কিছু গাছ অ্যালার্জির জন্য দায়ী। এর মধ্যে রয়েছে জলপাই, ওক গাছ, সুগার ম্যাপল, ম্যাগনোলিয়া ইত্যাদি গাছ অ্যালার্জির উদ্রেক করে।এবার আসা ঘাসজাতীয় উদ্ভিদে। অধিকাংশ পলেন অ্যালার্জি হয় ঘাসে। সাধারণত বসন্তের পর পরই। সেন্ট অগাস্টিন ঘাসে এমন অ্যালার্জি আছে। এ ছাড়া বারমুডা ঘাস, জনসন ঘাস, রেডটপ এবং টিমোথি এসব অ্যালার্জির কারণ। বসন্তের পর এবং গ্রীষ্মের শুরুতে এসব ঘাস থেকে সাবধান।পার্পলকোন ফুল এবং ক্রিসানথিমাম ফুল অ্যালার্জির উদ্রেক করে। তবে লিলি, ক্রোকাস অথবা হলিহকস ফুলগুলোতে কোনো সমস্যা হয় না। এগুলো সব বসন্তের ফুল। এ ছাড়া পিটুনিয়া, গোল্ডেন ক্যালিস ক্রিসানথিমাম, পেইন্টেড ডেইজি ইত্যাদি ফুলেও অ্যালার্জি থাকে।গ্রীষ্মে বীজজাতীয় কিছু উদ্ভিদে অ্যালার্জি থাকে। এরা পলেন অ্যালার্জির জন্য দায়ী। যাদের এসব সমস্যা রয়েছে তারা বটলব্রাশ, র্যাগউইড, পিগউইড, উড সোরেল, গোল্ডেনরড ইত্যাদি থেকে সাবধান থাকবেন। সূত্র-হাফিংটন পোস্ট।