গাজীপুর প্রতিনিধি,জি নিউজঃ গাজীপুরের পোশাক কারখানা গুলো গতকাল খুললেও সাভারে ভবনধসে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনায় দায়ীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে রাস্তায় নেমে আসেন পোশাক শ্রমিকেরা। বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ ঘোষিত দুই দিন ছুটি শেষে, ঘাতক রানার ফাঁসির দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো গাজীপুরে পোশাক শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেছেন।এ সময় তারা মহাসড়ক অবরোধ, ও কারখানা ভাঙচুর এবং কয়েকটি যানবাহনে আগুন দিয়েছেন।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কমপক্ষে তিন রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছে। পোশাক শ্রমিকদের নাশকতা প্রতিরোধে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির সাথে স্থানীয় পরিহন শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা লাঠি হাতে রাস্তায় নামে। পুলিশের সাথে শ্রমিকদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও কাঁদানে গ্যাসে পুলিশসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় তারা সাভারে ভবনধসের ঘটনার দায়ীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে সেøাগান দেন। পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় এসব এলাকায় কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়। দুপুর ১২টার দিকে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় আন্দোলনরত পোশাক শ্রমিকেরা জাগ্রত চৌরঙ্গীর মোড়ের দিকে আসতে থাকেন। এ সময় চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় পোশাক শ্রমিকদের নাশকতা ঠেকাতে পরিবহন শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে পোশাক শ্রুমিকদের ধাওয়া করেন। পরে পোশাক শ্রমিকেরা ভোগড়া চৌধুরী বাড়ি এলাকায় আবার সংগঠিত হয়ে একটি পিকআপ ভ্যানসহ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। পরে বিজিবি, পুলিশ ও পরিবহন শ্রমিকেরা আবার তাদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টার দিকে গাজীপুরের ছয়দানা মালেকের বাড়ি এলাকায় কিছুসংখ্যক পোশাক শ্রমিক মহাসড়কে ঝুটে আগুন দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। এ সময় তারা কারখানা ছুটির দাবিতে মহাসড়কের পাশের গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে ঢিল ছোড়েন ও ভাঙচুর শুরু করেন। বিক্ষোভকারীরা এ সময় ছয়দানা এলাকার এভারগ্রিন গার্মেন্ট ও সোয়েটার কারখানার গেট ভেঙে একটি প্রাইভেটকার ও একটি মোটরসাইকেল টেনে বাইরে এনে আগুন ধরিয়ে দেন। একই সময় তারা পাশের পার্কিং করে রাখা চারটি বাইসাইকেল ও চারটি ভ্যানগাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এ সময় শ্রমিকেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পুলিশ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে তিন রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। পুলিশের সাথে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও টিয়ার শেল নিক্ষেপের ঘটনায় পুলিশ পথাচারীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। আন্দোলনকারীরা সরে যাওয়ার পর দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই স্থানীয় জনতা আগুন নিভিয়ে ফেলে। জয়দেবপুর থানার ওসি কামরুজ্জামান জানান, নাশকতা সৃষ্টিকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করা হয়েছে।
জি নিউজ /গাজীপুর