গাজীপুর প্রতিনিধি,জি নিউজঃ-ঈদ জামাতের ঈমামতি নিয়ে গাজীপুর রাজবাড়ি ঈদগাহ মাঠে হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গাজীপুরে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ রাজবাড়ী মাঠে ঈদের জামাতে নির্ধারিত ইমামের পরিবর্তে প্রশাসন হঠাৎ করে ইসলামী ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ইমাম নির্ধারনকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক মো. নুরুল ইসলাম ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াজ উদ্দিন মিয়া পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে তাদের দিকে জুতা ছুড়ে মাঠ ত্যাগ করেছেন মুসল্লীদের একটি পক্ষ।পুলিশ ও মুসল্লিরা জানান, প্রতিবারের মতো গাজীপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ রাজবাড়ী মাঠে ঈদের নামাজে ইমামতি করার জন্য জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নির্ধারিত ইমাম ছিলেন গাজীপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুনির আহমাদ খান। হঠাৎ করেই গাজীপুর জেলা প্রশাসন শুক্রবার সকালে নামাজের সময় ইমাম পরিবর্তন করে ইসলামী ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বাইতুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মিজানুর রহমানকে দিয়ে ইমামতি করানোর উদ্যোগ নেন। এ ঘটনায় ঈদের জামাতে আসা মুসল্লিরা ক্ষিপ্ত হয়ে পূর্বের নির্ধারিত ইমাম দিয়ে নামাজ পড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। এছাড়া বিএনপি নেতা ড. শহীদুজ্জামান ও মুসল্লিরা জানান, এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট ওয়াজউদ্দিনসহ আওয়ামী লীগের কয়েক নেতা ও প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জুতা নিক্ষেপের অভিযোগে মুসল্লিদের ধরে মারধর করতে থাকে এবং ২ ব্যাক্তিকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এ সময় ৬ মুসল্লি আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার প্রতিবাদে মুসল্লিদের বৃহৎ একটি অংশ গাজীপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ থেকে চলে গিয়ে গাজীপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে নামাজ আদায় করেন। পরে জেলা প্রশাসনের আনা ঈমামের পেছনে পুলিশ পাহাড়ায় অপর একটি অংশ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ রাজবাড়ী মাঠে নামাজ আদায় করেন। এ ঘটনায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র এম এ মান্নান কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজ না পড়ে তার এলাকা সালনা ঈদগাহ ময়দানে নামাজ আদায় করেন। জয়দেবপুর থানার এসআই জহিরুল ইসলাম জানান, আটককৃত ২ ব্যক্তিকে মুচলেকা দিয়ে পরে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
মোঃ জহিরুল ইসলাম/সহকারি সম্পাদক / জি নিউজ বিডি ডট নেট /গাজীপুর/তাঃ-০৯-০৮-২০১৩