গাইবান্ধা প্রতিনিধি:গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে যৌথ বাহিনী অভিযানে বিএনপি ও জামায়াত শিবিরের ৪ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার অভিযানে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট সহ মহিলা ও শিশুদের নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণে জানা যায়, সোমবার দিবাগত রাতে যৌথ বাহিনী গোবিন্দগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের ধারার জন্য অভিযান চালায়। এ সময় গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীর বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায় যৌথ বাহিনী বলে অভিযোগ করেছে ক্ষতিগ্রস্তরা। আটককৃত নেতাকর্মীরা হলেন বড় সাতাইল বাতাইল গ্রামের আঃ গনি মন্ডলের পুত্র রানু মন্ডল বাবু(৩০), চন্ডিপুরের মিছির উদ্দিনের পুত্র শফিকুল ইসলাম(৪০), চন্ডিপুর গ্রামের আব্দুর রহমান সরকারের পুত্র ওয়াছিমুল বারী রানা(২০), গোহাটি পাড়ার আব্দুর গনির পুত্র আকতার হোসেন (৬০)।
যৌথ বাহিনীর কাছে আটককৃত পৌর বিএনপি’র সভাপতি ফারুক আহম্মেদের মা আমেনা বেগম জানায়, যৌথ বাহিনীর সদস্যরা পৌর শহরের পুরাতন বন্দরের ফারুকে ধরার জন্য অভিযান চালায় । এ সময় তাকে না পেয়ে ফারুকের ভাই কে যৌথ বাহিনী ব্যাপক মারপিট করে এবং তার ছোট সন্তানকেও তারা বাহিরে ছুড়ে মারে এবং ঘরের ভিতর ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে। ঘরে থাকা ৩০ হাজার টাকা ও দুই ভরিস্বর্ণ নিয়ে যায়।
একই ধরনের অভিযোগ করেছে পৌর বাজারের বাসিন্দা থানা বিএনপি’র সিনিয়র সভাপতির ভাই শফিকুল হাবিব, তালুক কানুপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি আব্দুর রহমান সরকার, কোমরপুরের জামায়াত নেতা জিল্লু, রুহুল আমিন, রেজাউল, শিবির নেতা রিয়ন এবং চন্ডিপুরের গ্রেফতারকৃত শফিকুলের ভাই। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় অধিকাংশ অভিযোগকৃত নেতাকর্মীর বাড়িতে টিভি, ফ্রিজ, সোকেস, ডেসিং টেবিল সহ ঘরের আসবার পত্রে ব্যাপক ভাংচুর করা হয়। ভাংচুর থেকে রক্ষা পায়নি মটর সাইকেল, রাইচ কুকার এমনি রান্না করার মাটির চুলাও।
এ ব্যাপারে ওসি ময়নুল ইসলাম জানান, যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়েছে। আমাদের কিছু করার নাই।