আন্তর্জাতিক ডেস্ক :– একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এটা ভালো কোনো লক্ষণ নয় বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের ডেপুটি মুখপাত্র ম্যারি হার্ফ বৃহস্পতিবার এক নিয়মিত প্রেস বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের সর্বশেষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবে ওয়াশিংটন। বিবৃতিতে হার্ফ বলেছেন, আমরা এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছি যে, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের কোনো পদক্ষেপ সরকার নেয়নি। যা কোনো ভালো লক্ষণ নয়। তবে এখনই এর ফলাফল কী হবে বা তারা কী চান তা নিয়ে মন্তব্য করেননি তিনি। বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় অর্ধেকের বেশি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপিরা নির্বাচিত হয়ে গেছেন। এমতাবস্থায় এ নির্বাচনের ফলাফলকে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দেবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেছেন ম্যারি হার্ফ। তিনি বলেন, নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আমরা কী বলবো তা আগেই বলতে চাচ্ছি না আমি। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে হার্ফ বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য মূলদলগুলো কোনো সমঝোতায় পৌঁছতে না পারায় যুক্তরাষ্ট্র হতাশ। এ লক্ষ্যেই আমরা তাদেরকে উৎসাহিত করছি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি ও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে নিজেদেরকে জড়িত রাখছি। আগেও সংলাপ আয়োজনের তাগাদা দেওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে হার্ফ বলেন, এখনও রাজনৈতিক দলগুলোকে গঠনমূলক সংলাপ আয়োজনের জন্য নিজেদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানোর আহবান করছি আমরা। দলগুলোর উচিত স্বচ্ছ্ব ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের উপায় খুঁজে বের করা। তবে যুক্তরাষ্ট্র সহিংসতা দেখতে চায়না। কারণ এতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। খালেদা জিয়ার গৃহবন্দী অবস্থা সম্পর্কে হার্ফ বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না। আমাকে এ বিষয়ে আমাদের টিমের রিপোর্ট দেখতে হবে। আমি বিষয়টি অনুসন্ধান করে দেখবো।