ঝিনাইগাতী প্রতিনিধিঃশেরপুরের ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের খৈলকুড়া গ্রামে ওয়ারিশের সম্পত্তি নিয়ে চাচা ভাতিজার মধ্যে গত ২৬ এপ্রিল এক সংঘর্ষ ও লুটপাট হয়। এ ব্যাপারে ইদ্রিস আলী বাদী হয়ে ঝিনাইগাতী থানায় ৭/৭৪ নং একটি মামলা দায়ের করেন। ইদ্রিস আলীর মামলায় ২জনকে গ্রেফতার করে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ। পরবর্তীতে চাচা কাশেম আলীর দায়ের করা মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার হন ইদ্রিস আলী। পরে ইদ্রিস আলী আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হন। বাদী ইদ্রিস আলীর মামলার সূত্রে জানা যায়, ওয়ারিশ সূত্রে বাদী ইদ্রিস আলী চাচা আবুল কাশেমের কাছে দীর্ঘদিন যাবত বাদে চল্লিশ কাহনিয়া মৌজায় ৫৪৩ নং দাগের ১৭ শতাংশ জমি দাবি করে আসছিল। উক্ত সম্পত্তি ভাতিজাকে না দেওয়ায় চাচা ও ভাতিজার মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত গ্রাম্য বিচার শালিসী চলে আসছিল। বাদী আরো জানায়, চাচা কাশেম তার ভাড়াটিয়া বাহিনী দিয়ে ভাতিজার ঘর বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে। এ ব্যাপারে ইদ্রিস আলী বাদী হয়ে কাশেম আলীসহ ৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। ইদ্রিস আলী আদালত থেকে মুক্তি পেয়ে এলাকায় আসলেও বিবাদী ও তার বাহিনী ইদ্রিস আলীকে মামলা তুলে নিতে হুমকী প্রদান করে আসছে। এছাড়া মামলার অভিযোগে আরও জানা যায়, ইদ্রিস আলীর স্কুল পড়–য়া মেয়ে সোনিয়া আক্তার ও ভাগিনি আকলিমা খাতুনকে তুলে নিয়ে যাবে এবং নানা ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শনের ফলে স্কুল পড়–য়া মেয়ে দুটো স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। ইদ্রিস আলী ও তার পরিবার পরিজন নিয়ে বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ইতিপূর্বেও ইদ্রিস আলী প্রাণনাশের হুমকী পেয়ে গত ১৯/০৪/২০১৩ ইং তারিখে ঝিনাইগাতী থানায় ৬৩৭ নং একটি সাধারণ ডায়রী করেছিলেন।
মুহাম্মদ আবু হেলাল/ ঝিনাইগাতী/ শেরপুর/জি নিউজ