শেরপুর প্রতিনিধি ঃ শেরপুর জেলার সমস্যায় জর্জরিত পিছিয়ে পড়া সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলায় দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য তরুন যুবক মাহমুদুল হক রুবেল ইফতার ও মিলাদ মাহফিলের মধ্য দিয়ে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নেই গণসংযোগ শুরু করেছেন। ১৯৯৩ সালে তার পিতা মরহুম ডাঃ সেরাজুল হক এমপি ত্রিশালে সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যু বরণ করায় তৎকালীন উপ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন না পাওয়ায় ¯^তন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেডিকেল কলেজে পড়ুয়া ঝিনাইগাতী-শ্রীবরদী নির্বাচনী এলাকা থেকে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে বিএনপি প্রার্থীকে হারিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দৃষ্টিতে চলে আসেন টগবগে তরুণা মাহমুদুল হক রুবেল। জানা গেছে, ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রæয়ারী নির্বাচনে কিছুটা বিতর্কিত হলেও ওই সময় বিএনপি থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০১ সালে বিএনপির টিকেটে মাহমুদুল হক রুবেল মনোনয়ন নিয়ে শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতীতে বাজিমাত করে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বিজয়ের মালা ছিনিয়ে নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এই তরুণ নেতা। বয়সের তুলনায় প্রথম দিকে সংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই আলোচনা সমালোচনা হলেও এখন ঝিনাইগাতী-শ্রীবরদী উপজেলার সুপরিচিত অভিভাবক হিসেবে হাল ধরেছেন এমনকি জেলা পর্যায়েও নিজ দক্ষতার গুণে দখল করে নিয়েছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের পদটিও। তার উত্থানের পেছনে মূল কারণ তার পিতা মরহুম ডাঃ সেরাজুল হক এমপির স্মৃতির প্রতি মানুষের অগণিত ভালবাসায় মুগ্ধ হয়েই দুই উপজেলার মানুষ রুবেলকে বরণ করে নেয় বার বার। অনেক চড়াই উৎড়াই এর মধ্য দিয়ে বর্তমান সরকারের জেল জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন, মামলা-হামলাকে ভয় না করে তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠনকে সু-সংগঠিত করেছেন অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির হাই কমান্ডের নির্দেশে দুই উপজেলায় জনগণকে বর্তমান সরকারের জুলুম অত্যাচার নির্যাতনের বিষয় নিয়ে জনগণকে সচেতন ও বিএনপি প্রার্থীর প্রতি সমর্থন চেয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থী মাহমুদুল হক রুবেল। ইতিমধ্যে তার পিতা ও তার সংসদ সদস্য থাকাকালীন অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার এবং দেশনেত্রী বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করার জন্যে অঙ্গীকারবদ্ধ হচ্ছেন গণসংযোগের মাধ্যমে। এ ব্যাপারে সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য মাহমুদুল হক রুবেল জানান, আমি ঝিনাইগাতী-শ্রীবরদী নির্বাচনী এলাকার বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে অতীতে নির্বাচিত হয়েছি, এবারও আমি বিজয়ের আশাবাদী। এর পরেও দল যাকে মনোনয়ন দিবে, আমি তার নির্বাচন হাই কমান্ডের নির্দেশে করব ইনশাআল্লাহ। ঝিনাইগাতী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুছ ছালাম জানান, মাহমুদুল হক রুবেল ইতিপূর্বেও মনোনয়ন পেয়েছেন এবারও পাবেন বলে এলাকাবাসীর ধারনা। তাকে ছাড়া এ আসন উঠিয়ে আনা কঠিন বলে মনে করেন নেতা কর্মিরা। উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুবদল সভাপতি আব্দুল মানান জানান, মাহমুদুল হক রুবেল বর্তমান মহাজোট সরকারের জুলুম অত্যাচারকে উপেক্ষা করে দুই উপজেলার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনকে তৃনমূল থেকে সুসংগঠিত করেছেন। তিনি পূর্বেও বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ঝিনাইগাতী-শ্রীবরদী আসনে তিন বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এবারও বিএনপির হাই কমান্ড তাকেই এ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন দিবে বলে আমরা আশা করি এবং তিনি মনোনয়ন পেলে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন। মাঠ পর্যায়ে সাধারন জনগনের কাছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি’র মনোনয়ন ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে এলাকাবাসী জানান, বিএনপি থেকে মাহমুদুল হক রুবেল মনোনয়ন পেলে এ আসনটি বিএনপির হাতে চলে আসবে। এই দুই উপজেলা বিএনপির একটি শক্তিশালী দূর্গ। যখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকে তখন সে সরকারেরই হাতে থাকে এই আসনটি। ফলে এই দুই উপজেলার মানুষ ভাগ্যবান হলেও ঝিনাইগাতী উপজেলা উন্নয়ন থেকে বারবার অনেক পিছিয়ে থাকে। এবার দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাহমুদুল হক রুবেলের কাছে ব্যতিক্রমী নির্বাচনী অঙ্গীকার পাবে বলে ভোটাররা আশাবাদী।
জাহিদুল ইসলাম মিলন, জি নিউজ