অনলাইন ডেস্ক:- বাংলাদেশের ঢাকায় চলন্ত মাইক্রোবাসে গণধর্ষণের শিকার তরুণীটির ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে চিকিৎসকেরা বলছেন তার শরীরে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।
শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে তার ডাক্তারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
গত বৃহস্পতিবার রাতে কাজ থেকে বাড়ি ফেরার জন্য বাসের অপেক্ষায় থাকার সময় ঢাকার কুড়িল বিশ্বরোড থেকে তাকে মাইক্রোবাসে তুলে নেয় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা।
চলন্ত মাইক্রোবাসেই গণধর্ষণ শেষে তাকে আবার সড়কেই ফেলে যায় তারা।
গতকাল তরুণীটি থানায় অভিযোগ করে।
পুলিশ বলছে, ঢাকায় চলন্ত যানবাহনে তরুণীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের ঘটনা একেবারেই নতুন।
ফলে এটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে তারা, বলেছেন গুলশানে পুলিশের উপ কমিশনার লুৎফর রহমান।
মি. রহমান অবশ্য স্বীকার করেছেন ঘটনায় ব্যবহৃত মাইক্রোবাস ও অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার কাজে এখন পর্যন্ত কোনও অগ্রগতি হয় নি।
তবে যৌন নিপীড়ণবিরোধী বেসরকারি সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রোখসানা সুলতানা বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, বাংলাদেশে বিচারহীনতা ও আইন প্রয়োগে শিথিলতার কারণে নারীদের উপর ধর্ষণ ও নির্যাতনের মাত্রা বাংলাদেশে দিনকে দিন বেড়েই চলেছে।
সাম্প্রতিক আলোচিত সবগুলো ধর্ষণের ঘটনাতেই পুলিশ নিষ্ক্রিয় থেকেছে এবং এখনও পর্যন্ত কাউকে আইনের আওতায় আনতে পারেনি বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।খবর:বিবিসি বাংলার