অনলাইন ডেস্ক:- ঢাকায় ২৪ ঘণ্টায় দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নগরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে৷ সুপ্রিম কোর্ট জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকীকে বুধবার রাতে হত্যার পর বৃহস্পতিবার রাতে হত্যা করা হয় এক নারীসহ তিনজনকে৷
এই অবস্থায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত শুক্রবার বলেন, ‘‘এক দিনের ব্যবধানে সুপ্রিম কোর্ট জামে মসজিদের খতিব মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকী এবং মগবাজারে তিন খুনের ঘটনায় মানুষ আতঙ্কিত৷ তাই এ বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে৷”
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘‘ঘরের মধ্যে এসে মানুষ খুন করে যাবে, এ অরাজকতা চলতে পারে না৷ এ ব্যাপারে পুলিশ বাহিনী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আরও দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়ে সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করতে হবে৷”তবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল তা মোটেও মনে করেন না৷ তিনি মনে করেন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে৷
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘এসব ঘটনায় মোটেও বলা যাবে না যে রাজধানীতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে৷’তিনি এই হত্যাকাণ্ড গুলোকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দাবি করে বলেন, ‘‘পরিস্থিতি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে৷ আমরা দোষীদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা করছি৷ যে বা যারাই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকুক না কেন এবং যে ইস্যুতেই এ খুনের ঘটনা ঘটুক না কেন দ্রুত খুনিদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে৷” এ নিয়ে সাংবাদিকদের ‘অপপ্রচার’ না চালাতেও অনুরোধ করেছেন প্রতিমন্ত্রী৷
সুপ্রিম কোর্ট জামে মসজিদের খতিব ও একাধিক বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের উপস্থাপক মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকীকে গত বুধবার রাত আটটার দিকে দুর্বৃত্তরা পূর্ব রাজাবাজারের দোতলার ভাড়া বাসায় ঢুকে স্ত্রী ওস্বজনদের আটকে রেখে গলা কেটে হত্যা করে৷ হত্যাকাণ্ডে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি৷ ফারুকী আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আন্তর্জাতিক সম্পাদক ছিলেন৷
বৃহস্পতিবার ভোরে ফারুকীর ছেলে ফয়সাল ফারুকী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আট-নয়জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন৷ ফারুকীকে খুন করে বাসা থেকে ছয় লাখ তিন হাজার টাকা লুট হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়৷
শেরেবাংলানগর থানার পাশাপাশি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ও র্যাব হত্যাকাণ্ডের কারণ খতিয়ে দেখছে৷ খবর:ডিডাব্লিউ, মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি৷ তবে অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে৷ হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে৷