বিশেস প্রতিবেদক, জি নিউজ ঃ- শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন-তারেক রহমান একটি ইন্সটিটিউট। তারেক রহমান আসবে, এই অচল বাংলাদেশ সচল হবে। দুঃশাসনের রাজনীতি সুশাসনে পরিণত হবে। খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান দেশে ফিরলেই দেশ ‘সচল’ হয়ে উঠবে বলে মনে করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত প্রধান হুইপ শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, তারেক রহমান জিয়াউর রহমানের ডুপ্লিকেট।গতবৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। গতপাঁচ বছর ধরে যুক্তরাজ্যে অবস্থানকারী তারেক রহমানের সেটিই ছিল প্রথম প্রকাশ্য সভা। ওই সমাবেশের পর তারেককে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের নেতারা। সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী তারেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেন তিনি ওই বক্তব্য দিয়ে ‘মুচলেকার’ শর্ত ভেঙেছেন। গত ২০ মে লন্ডনে যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাদের নিয়ে এক বৈঠকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগকে চাপ দিতে প্রবাসীদের সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে উল্লেখ করে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, বিগত ৬৫ সালে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধে তিনি পাঞ্জাব রণাঙ্গনে যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। উনি তখন ক্যাপ্টেন ছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় তিনি উঠে এসেছেন। তিনি বলেন-অর্থ মন্ত্রী বলেছেন বিনিয়োগ বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছে বিনিয়োগ বাড়েনি। সিপিডি বলছে বিনিয়োগ স্থবির হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব দেখলেও জানা যাবে বিনিয়োগ বাড়েনি। এ্যানি বাজেট নিয়ে সংসদীয় কমিটিতে আলোচনার ব্যবস্থা চালু করার পরামর্শ দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বক্তব্যকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এক এগারো একদিনে সৃষ্টি হয় নাই। এটা ছিল পরিকল্পিত। তাদের বৈধতা দিতে বেগম খালেদা জিয়া বঙ্গভবন যায়নি। খালেদা জিয়া তাদের বৈধতা দেয়ার কথা বলেন নাই। সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফর রহমানের প্রশংসা করে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন,ভ্যালু অ্যাডেড ট্যাক্স সাইফুর রহমানের যুগান্তকারী পদক্ষেপ। তার বাজেটের সময় দেখিনি শেয়ার মার্কেটে ধস নামতে। দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের বিপরীত অবস্থানে রাজনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে জরুরি অবস্থা জারি হয়। এরপর সেনা নিয়ন্ত্রিত একটি সরকার দুই বছর ক্ষমতায় ছিলো। ওই সরকারের সময় দুই প্রধান রাজনৈতিক নেত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে রাখা হয়েছিলো। অনেক রাজনৈতিক নেতার ওপরও নির্যাতন হয়েছিলো। ২০০৮ সালে নির্বাচনের মধ্যদিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ফিরে আসে। ওই নির্বাচনে জনরায় নিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া শেখ হাসিনা অনির্বাচিতদের হাতে যে কোনোভাবে ক্ষমতা দেয়ার বিরোধী। বর্তমান সরকার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনের মাধ্যমে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করেছে। এদিকে গত ২০০৮ সালে নির্বাচনের মধ্যদিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ফিরে আসে।