তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে নির্বাচন দিতে বাধ্য করা হবে:-মির্জা ফখরুল
জিনিউজঅনলাইনঃ– অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে অতীতে কোন শাসক জনগণের গণআন্দোলনকে দমাতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর । তিনি বলেন,তাই বর্তমান স্বৈরাচার সরকারও পারবেনা। জনগনের তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে অবিলম্বে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করা হবে। রবিবার বিকালে জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস)এর ২২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জিয়া স্বর্ণপদক প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। বিএনপি নয় আওয়ামীলীগই সন্ত্রাসীদের সংগঠন মন্তব্য করে মির্জা আলমগীর বলেন, বিএনপি একটি উদার গণতান্ত্রিক দল। বিএনপি কখনো সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদে বিশ্বাস করেনা। বরং আওয়ামী লীগের আমলেই জঙ্গিবাদের উত্থান হয়। দেশে সন্ত্রাস হয়। তারা সন্ত্রাস করে বলেনই বিএনপিকে স্বাভাবিক রাজনীতি করার সুযোগ দেয়না। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশে গিয়ে মিথ্যাচার করেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে সংবিধানের মূলোৎপাটন করে বিভিন্ন ধারা সংশোধন করেছে। এর মাধ্যমে জনগনের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। আওয়ামীল কখনোই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেনি মন্তব্য করে তিনি বলেন, তারা মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও বাস্তবে স্বৈরাচারি মনোভাব পোষণ করে। তাদের অন্যায় দু:শাসনের বিরুদ্ধে যারাই কথা বলে তাদের কণ্ঠরোধ করেছে। তিনি বলেন, আমাদের জাতিস্বত্বাকে টিকিয়ে রাখতে হলে, জিয়াউর রহমানের আদর্শ টিকিয়ে রাখতে হলে, সাংস্কৃতিক আন্দোলন অপরিহার্য। ৫ জানুয়ারি কোন নির্বাচন হয়নি মন্তব্য করে মির্জা আলমগীর বলেন, সে দিন প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে দখলদাররা ক্ষমতা দখল করেছে। জগদ্দল পাথর সরকারকে সরাতে পারিনি। আমাদের দায়িত্ব ছিল সেই নির্বাচন প্রতিহত করার। আমরা চেষ্টা করেছি। জনগণ ভোট দিতে যায়নি। তিনি বলেন, অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে অতীতে কেউ জনগণের আন্দোলনকে দমাতে পারেনি। এখনো পারবেনা। মামলা হামলা করে কেউ চিরদিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। জনগণের আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারি সরকারকে অবিলম্বে নির্দলীয় সরকারের অধীনে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন দিতে বাধ্য করা হবে। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আবুল হাসেম রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, ভিপি সাইফুল, মতিউর রহমান ডিজেল প্রমুখ।