আরিফুল ইসলাম রিয়াজ; ভোলা প্রতিনিধিঃভোলায় তীব্র শীতে এপর্যন্ত দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। উপকূল তীরবর্তী জনপদ হওয়ায় এখানে শীত আগে আগে এবং যায় পরে। শৈত্য প্রবাহের কারনে মাঝে মাঝে সূর্যের দেখা যাওয়া যায় না। কনকনে ঠান্ডা বাতাস আর শৈত্য প্রবাহের ফলে কষ্ঠ পাচ্ছে উপকূলে বসবাস কারী দরিদ্র মানুষ। শীত এলে সবচেয়ে বেশী সমস্যায় ভোগে শিশু ও বৃদ্ধরা। গরমের কাপরের অভাবে বেড়িপাড়ের মানুষের জনজীবন দূর্বিসহ হয়ে উঠেছে। প্রয়োজনীয় গরম কাপড় না থাকায় দরিদ্র মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে। শীতের সাথে সাথে বাড়ছে শীত জনিত রোগের প্রকোপ এখানকার বেশীর ভাগ শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। ভোলা হাসপাতালের রেকর্ড অনুযায়ী প্রতিদিন গড়ে ১০-১৫ জন রোগী শীত জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসছে। আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে দৌলতখানের বাপ্পী ও চরফ্যাশনের আশিক নামে দুই শিশু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ নিত্তানন্দ চৌধুরী জানান তীব্র শীতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশী আক্রান্ত হচ্ছে এদের মধ্যে অনেকেই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। শীতের তীব্রতায় হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এদিকে জেলা প্রশাসক সেলিম রেজা জানান প্রধান মন্ত্রীর ত্রান তহবিল থেকে ছয় হাজার তিনশত পিস কম্বল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও তিন হাজার ছয়শত পিস কম্বল বিতরন করা হয়েছে। তবে এ বরাদ্ধকৃত কম্বল প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল হওয়ায় দ্বীপ জেলার অসহায় মানুষের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসবে সমাজের বৃত্তবান মানুষ এটায় সকলের চাওয়া।
তীব্র শীতে ভোলার জনজীবন বিপর্যস্থ, দুই শিশুর মৃত্যু
Share This