রুমন মোস্তাফিজ : রাজধানী তুরাগের নলভোগ গ্রামে বালু ব্যবসায়ী মনির হোসেন (৩২) হত্যা মামলার প্রধান আসামী নিহত মনিরের স্ত্রী ইয়াসমীন আক্তারকে জিঞ্জাসাবাদের জন্য ৪ দিনের পুলিশ রিমান্ডে এনেছে তুরাগ থানা পুলিশ। বুধবার ৪ দিনের রিমান্ডের প্রথম দিন।
মঙ্গলবার তুরাগ থানার মনির হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামী ইয়াসমীন আক্তারকে ঢাকার এ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ঢাকার সিএমএম বিঞ্জ আদালতে হাজির করা হয়। এর আগে তুরাগ থানা পুলিশ ওই দায়েরকৃত হত্যা মামলায় জিঞ্জাসাবাদের জন্য ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ড চাওয়া হয়। বিঞ্জ মহামান্য আদালত শুনানী ও যুক্তি শেষে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর পর তুরাগ থানা পুলিশ আসামী ইয়াসমীনকে তুরাগ থানায় নিয়ে আসে।
চলতি বছরের ১৬ মার্চ তারিখে মধ্যরাতে রাজধানী তুরাগের ৪ ন¤^র ওয়ার্ড নলভোগ গ্রামের হাজী নূর মিয়ার বাড়িতে পারিবারিক বিরোধ ও স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য নিয়ে স্ত্রী ইয়াসমীন আক্তার ধারালো ছোরা দিয়ে তার স্বামী বালু ব্যবসায়ী মনির হোসেনকে হত্যা করে। চাঞ্জল্যকর এই খুনের ঘটনাটি ঘটে। উক্ত ঘটনায় মনিরের স্ত্রী ইয়াসমীন ও গুরুতর আহত হয়।
মনিরের পিতা হাজী নূর মিয়া জানান, আমি আমার ছেলে মনির হোসেনের হত্যা কারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও প্রশাসনের নিকট ন্যায় বিচার চাই। সেই সাথে হত্যা মামলার সুষ্ট তদন্ত ও দাবী করছি। তুরাগ থানার মনির হত্যা মামলার বাদী হন হাজী নূর মিয়া। ২ পুত্র সন্তানের জনক ছিল নিহত মনির হোসেন। এছাড়া সংসারের একমাত্র আয়ের উপার্জন কারী ছিল মনির হোসেন। ব্যবসায়ী মনির হত্যার পর তার পরিবার অনেকটা আর্থিক সংকটের মধ্যে জীবনযাপন করছে।
মনির হোসেন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তুরাগ থানার এসআই কামাল হোসেন জানান, গত ১৭ মার্চ ২০১৪ নিহত বালু ব্যবসায়ী মনিরের স্ত্রী ইয়াসমীন আক্তারকে গুরুতর আহত অবস্থায় বসুন্ধরা এ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর কিছুটা সুস্থ হলে ইয়াসমীনকে ৮ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে আদালতে পাঠালে আদালত ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আগামী শনিবার ৪ দিনের রিমান্ড শেষ হবে।