জি নিউজ বিডি ডট নেট:- ততকালীন শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামীর নেতৃত্বেই দশ ট্রাক অস্ত্র খালাসে জেটি ব্যবহার করা হয়েছিল। আর এই দশ ট্রাক অস্ত্র দেশে আনার ষড়যন্ত্রে মূল হোতা হলেন বেগম খালেদা জিয়া। তাই নতুন করে তদন্ত করে তাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে বলে দাবি করেছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম । খালেদা জিয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “আমাদের লজ্জা হয় যখন দেশের একজন প্রধানমন্ত্রী একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা এবং সন্ত্রাসীদের অস্ত্র চোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহার করতে বাংলাদেশকে ব্যবহার করতে দেন। গতকালবৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জামায়াতের হরতাল বিরোধী মিছিল পূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এদিকে জামায়াতের ডাকা হরতাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তাদের হরতাল রুটিন কর্মসূচির অংশমাত্র। রাজধানীতে কোনো হরতাল নেই। হরতালের প্রতিচ্ছবি দেশের কোনো স্থানেও পড়েনি। কামরুল ইসলাম বলেন, “আদালতের পর্যবেক্ষণে এসেছে ততকালীন প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কী ভূমিকা ছিল। একজন প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান করে। খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম আরো বলেন, “২১ গ্রেনেড হামলা এবং দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা ও হামলার ঘটনায় বিএনপি সরাসরি জড়িত। তারপর তারা নিলর্জ্জের মতো এখনো মিথ্যাচার করছে। এছাড়া ওই সমাবেশে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, “জামায়াতের কোনো নেতার বিরুদ্ধে মামলার রায় হলে তারা হরতাল ডাকে। তাদের মূল জায়গা পাকিস্তান। এজন্য দেশটি প্রতিক্রিয়া জানায়। আর খালেদা নিরব থাকেন। কিছু বলেন না।তিনি বলেন, “খালেদা জিয়া যত দিন বাইরে থাকবে ততদিন দেশের মানুষের জন্য অমঙ্গল। তিনি বাইরে থাকলে হরতাল অবরোধ দিতে থাকবেন। তাই তাকে যত দ্রুত সম্ভব আটকানো প্রয়োজন। ওই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল হক সবুজ প্রমুখ। তাঃ-০৭ ফেব্রুয়ারি২০১৪।