দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য যে ৭টি বিষয় মেনে চলবেন

2jnঅনলাইন ডেস্কঃ- কোনো সম্পর্কই টিকিয়ে রাখা সহজ নয়। এজন্য প্রয়োজন উভয়ের চেষ্টা ও ত্যাগ। এসব বিষয়ে ঘাটতি থাকলে সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয় না। নানা তুচ্ছ কারণে প্রচুর মানুষের সম্পর্ক ভেঙে যায়।অনেকেই অভিযোগ করে তাদের কোনো সম্পর্কই স্থায়ী হয় না। কিন্তু কি কারণে তা হয় না, সে বিষয়ে অনেকেই অনুসন্ধান করে না। এ লেখায় দেওয়া বিষয়গুলো আত্মস্থ করলে তা সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করতে ভূমিকা রাখবে।
. আগ্রহ বজায় রাখুন
আপনার সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য উভয় পক্ষের আগ্রহ বজায় রাখতে কাজ করতে হবে। এজন্য একই কাজ বারবার করার মতো একঘেয়ে বিষয় বাদ দিন। তার বদলে জীবনে যোগ করুন বৈচিত্র্য। মাঝে মাঝে রোমান্টিক ভ্রমণ, ডেটিং ও পৃথিবীটাকে নতুন করে আবিষ্কারের চেষ্টা বাদ দেবেন না। সম্পর্ক শুরুর পর প্রথম কয়েক মাস অনেকেই রোমান্টিক বিষয়গুলো রাখলেও পরে তা বাদ দিয়ে দেন। রোমান্টিক বিষয়গুলো বাদ না দেওয়াই ভালো।
. একে অন্যকে সময় দিন
একে অন্যের পেছনে সময় ব্যয় করা সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি যদি আপনার সঙ্গীর থেকে দূরে থাকতে থাকেন, তবে তাতে উভয়ের অভ্যস্ততা চলে আসবে। এটি কোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রে কাম্য হতে পারে না। আপনার কাজ যতো বেশিই হোক না কেন, চেষ্টা করুন সঙ্গীকে কিছুটা বেশি করে সময় দিতে।
. সহনশীলতা শিখুন
প্রত্যেক স্বাস্থ্যকর সম্পর্কের ক্ষেত্রেই সহনশীলতা একটি মূল উপাদান। একে অন্যকে ছাড় দিতেই হবে, নাহলে সম্পর্ক টিকে থাকবে না। অপর পক্ষের ভুল-ত্রুটিকে সহনশীল দৃষ্টিতে দেখতে হবে। প্রত্যেককেই মূল্যবান বিষয় ছেড়ে দিতে হবে সম্পর্কের স্বার্থে। অনেক সময় এ বিষয়গুলো কঠিন মনে হলেও অপর পক্ষ থেকে উপযুক্ত প্রতিদান আসলে তখন তা সম্পর্ককে নিয়ে যাবে একধাপ সামনে।
. নিজের স্বকীয়তা হারাবেন না
আপনার সঙ্গে আপনার সঙ্গীর যতো গভীর সম্পর্কই থাকুক না কেন, নিজের সম্পূর্ণ স্বকীয়তা হারাবেন না। আপনার সঙ্গীকে সঙ্গ দিতে গিয়ে তার মাঝে নিজের সত্তাকে বিসর্জন দেওয়া কোনো মতেই স্বাস্থ্যকর নয়। তার বদলে নিজের জন্য কিছুটা স্থান রাখুন। নিজের জন্য কিছু স্থান না রাখলে তা আপনার রোমান্টিক সম্পর্ককে বাড়ানোর বদলে কমিয়ে দিতে পারে।
. কথা বলুন
সম্পর্ক মানে শুধু রোমান্টিক বিষয়ের আদান-প্রদান নয়। আপনি যদি সঙ্গীর সঙ্গে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা না করেন তাহলে সমস্যাগুলো সমাধান করা যাবে না। আপনাদের দৈনন্দিন সমস্যা ও অনুভূতি একে অন্যকে জানানো সুস্থ সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এতে যে কোনো সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে দ্বীধা করবেন না। আপনার ভালোবাসা, হতাশা, রাগ, বিরক্তি সবকিছু নিয়েই আলোচনা করুন।
. নিয়ম মেনে যুদ্ধ করুন
সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাদানুবাদ ও মতভেদ হতেই পারে। তবে তা আপনি ও আপনার সঙ্গী কিভাবে করছেন সেটাই মূল বিষয়। একে একটি গঠনমূলক বিষয় হিসেবে গড়ে তুলুন ও এ থেকে শিক্ষা নিন। এর মাধ্যমে গভীর ও শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তোলা যেতে পারে। এ কারণে বাদানুবাদ হলে একে অন্যকে দায়ী করার আগে উভয়ে মিলে কোনো সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করুন।. উপভোগ করা বাদ দেবেন না
আপনার সম্পর্ক ধ্বংস হয়ে যেতে পারে যদি সম্পর্ক উপভোগ করা বাদ দেন। তাতে একে অপরের সঙ্গ উপভোগ করার বদলে জোর করার অনুভূতি তৈরি হতে পারে। যদি একে অন্যের সঙ্গ উপভোগ করতে চান এবং সম্পর্কের আগুনটা প্রজ্জ্বলিত রাখতে চান তাহলে উপভোগ ও মজা করা বাদ দেবেন না কখনোই। আপনারা একে অন্যের সঙ্গ উপভোগ করার জন্যই একত্রিত হয়েছেন, একথা ভুললে চলবে না। সূত্র-ইন্টারনেট।

Exit mobile version