জি নিউজ ঃদেশি-বিদেশি চক্র বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে সদা তৎপর রয়েছে বলে জানান শেখ হাসিনা । জামায়াত-শিবির এবং বিএনপি প্রতিনিয়ত এই চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের নৈরাজ্য সত্ত্বেও বাংলাদেশের কাঙ্খিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
তিনি বলেন, জামায়াত ও বিএনপি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা সত্ত্বেও পুলিশ বাহিনীর সহায়তায় শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই তুলে দেয়া সম্ভব হয়েছে।
নাশকতা, পুড়িয়ে মানুষ হত্যা কোনো দেশত্ববোধক কাজ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা একইভাবে মুক্তিযুদ্ধে মানুষ হত্যা করেছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, জামায়াত-বিএনপির হাতে ১৬ জন পুলিশ সদস্য অকাতরে জীবন দিয়ে জনমনে স্বস্তি ও আস্থা ফিরে এনেছে। ফলে সব শহীদ পুলিশ সদস্যদের সন্তানদের চাকরির ব্যবস্থা করা আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া পুলিশে ৩০ হাজার ৮৩৩টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুলিশ বাহিনী দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশেও অবদান রেখে যাচ্ছে। নারী পুলিশ সদস্যরাও দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছে। সরকারের গত ৫ বছরে ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে। একটি সুখী সমৃদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতি গঠনে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে।
তিনি বলেন, প্রবৃদ্ধি ৬ ভাগের অধিক রয়েছে ধারাবাহিকভাবে। বিদ্যুৎ উৎপাদন এক হাজারের বেশি মেগাওয়াট সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশে উন্নয়নের মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশও এসব কৃতিত্বের অংশীদার।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৭১ সালে এ মাসেরই ২৫ তারিখ পাক হায়েনারা নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে। পুলিশ সদস্যরাই প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।
এ বছর বিশেষ অবদান রাখার জন্য ১০৫ জন পুলিশ সদস্য বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) ও রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী পুলিশ সদস্যদের মধ্যে চার ধরনের পদক বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম), বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম-সেবা), প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক (পিপিএম) ও প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক (পিপিএম-সেবা) বিতরণ করেন।