জি নিউজ বিডি ডট নেটঃ- বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বর্তমান সরকার দেশকে আলোকিত করতে কাজ করছে। দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেবো,সচিবালয়ে গতকাল বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে এসে উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সভায় বক্তৃতা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা : বাসস, প্রায় আড়াই বছর পর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে গতকাল সচিবালয়ে অফিস করেন। প্রধানমন্ত্রীর সাড়ে তিন ঘণ্টার বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। তিনি বলেন, আগামী পাঁচ বছর মন্ত্রণালয়ের সামনে কোন কোন চ্যালেঞ্জ আছে ও সেগুলো কিভাবে মোকাবেলা করা যায় সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।সকাল ১০টা ৩৭ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের সামনে পৌঁছলে তার জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকসহ বিভিন্ন দাফতরিক কাজ সেরে প্রধানমন্ত্রী বেরিয়ে যান বেলা প্রায় আড়াইটার দিকে। প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন দিকনির্দেশনার কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, কয়লা উত্তোলনে আরো নতুন প্রযুক্তি হয়তো এই সময়ের মধ্যে চলে আসতে পারে। এই মুহূর্তে কয়লা উত্তোলনের ব্যাপারে নতুন প্রযুক্তির জন্য অপো করব। প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কৃষকদের জমি আগে রা করতে হবে। এর পরে সিদ্ধান্ত নেবো আমরা কি করতে চাই। কয়লা উত্তোলন ভবিষ্যতের ওপর ছেড়ে দিতে চাই। তিনি বলেন, কয়লা উত্তোলন নিয়ে গবেষণা বাড়ানোর বিষয়েও প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।প্রতিমন্ত্রী জানান, গ্যাস উৎপাদন বাড়াতে করণীয় নির্ধারণ এবং সম্ভাব্য যেসব প্রকল্প হাতে আছে সেগুলোর বিষয়ে এ বছরের মধ্যেই সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের সামনে পৌঁছালে উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ও বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। বিদ্যুৎ খাত নিয়ে সরকারের মহাপরিকল্পনায় ২০৩০ সালের মধ্যে উৎপাদন মতা ৩০ হাজার মেগাওয়াটে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে, যার অর্ধেক আসবে কয়লা থেকে। উপদেষ্টা বলেন, নতুন সরকারের ভিশন ভুলে না গিয়ে সেই ল্য অর্জনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ল্যমাত্রার দ্বিগুণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করায় বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। গত পাঁচ বছরে দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সর্বোচ্চ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড হলেও গণমাধ্যমে তা ফলাও করে প্রকাশ না করায় দুঃখ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলে ওই ভবনের নিচ থেকে লিফট পর্যন্ত বিছানো হয় লালগালিচা। ওই লিফট দিয়েই তিনি উঠে যান দ্বিতীয়তলায় তার জন্য প্রস্তুত করে রাখা ১২২ নম্বর ক।ে
গত পাঁচ বছরে তিনবার বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ে অফিস করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঃ-৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪