জি নিউজঃ যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গণজাগরণের বিপক্ষে দাঁড়ানো আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার এবং পত্রিকাটির ছাপাখানা বন্ধ করার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে গত শনিবার ওই বিবৃতি দেন ১৫টি দৈনিক ও একটি অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক। তারা মাহমুদুর রহমানের মুক্তি এবং বন্ধ আমার দেশ, দিগন্ত টেলিভিশন ও ইসলামিক টিভি খুলে দেয়ার দাবি জানান।
ওই বিবৃতিতে ফেইসবুকসহ সোস্যাল মিডিয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ চার সংগঠনের নেতারা রোববার এক বিবৃতিতে সম্পাদকদের বক্তব্যের প্রতিবাদ করেন।
এই প্রেক্ষাপটেই সোমবার তথ্য অধিদফতরের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলন ডাকেন মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। ভবিষ্যতে তারা আর মাহমুদুরের পক্ষে ‘ওকালতি’ করবেন না বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ১৫ জন সম্পাদক এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল না হয়ে, পুরো বিষয়টি খতিয়ে না দেখেই ওই বিবৃতি দিয়েছেন।
“মাহমুদুর রহমান সংবাদপত্র জগতে কলঙ্কজনক অধ্যায় রচনা করেছেন। সাংবাদিকতার সুযোগ নিয়ে তা ব্যাক্তি ও গোষ্ঠী স্বার্থে কাজে লাগিয়েছেন।”
তারা এভাবে বিবৃতি দেয়ায় গণমাধ্যম কর্মীদের ভাবমূর্তিও খুণ্ন হয়েছে বলে মন্তব্য করেন জাসদ সভাপতি ইনু।
তিনি বলেন, “না জেনে বিবৃতি দিয়ে সাফাই গাওয়া গণমাধ্যমের জণ্য মঙ্গলজনক না। আশা করব তারা আমাদের যুক্তি গ্রহণ করবেন, ভবিষ্যতে মাহামুদুরের পক্ষে আর ওকালতি করবে না।”
মন্ত্রী বলেন, হ্যাকিং করে বিকৃত তথ্য প্রচার, মিথ্যাচার, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন সব বিষয় প্রচার করার দায়ে আমার দেশের বিরুদ্ধে ববস্থা নেয়া হয়েছে। আর মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সুনির্দিষ্ট ফৌজদারী অভিযোগে।
তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমার দেশের ছাপাখানা খোলা হবে না জানালেও মন্ত্রী বলেন, “তবে ডিক্লারেশন বাতিল করা হয়নি। তারা চাইলে পত্রিকা প্রকাশ করতে পারে। সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবে না।”