অনলাইন ডেস্কঃ- ভারত মহাসাগরে ব্যাপক তল্লাশি চালিয়েও মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের নিখোঁজ যাত্রীবাহী বিমান এমএইচ৩৭০-এর সন্ধান পাওয়া যায় নি। মালয়েশিয়ার পুলিশ প্রধান খালিদ আবু বকর বলেছেন, “হয়ত এর রহস্য কোনোদিনই জানা যাবে না, তবু এ ব্যাপারে ফৌজদারি তদন্ত চলতেই থাকবে। আমাদেরকে প্রতিটি রহস্যের জট খুলতে হবে।” তিনি বলেন, তদন্ত শেষেও আমরা হয়তো এই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে পারবো না। খালিদ জানান, পাইলট ও বিমান ক্রুদের পরিবারের অন্তত ১৭০ জনের সাক্ষাৎকার নিয়েছে মালয়েশিয়ার পুলিশ। এমনকি কার্গো এবং বিমানের সরবরাহকৃত খাবারও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। তদন্ত এখনও চলছে এবং আরো বহু লোকের সাক্ষাৎকার নেয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলেও তিনি জানান। বিমান ক্রু কিংবা যাত্রীদের কারো মানসিক রোগ ছিল কিনা তাও যেমন খতিয়ে দেখা হচ্ছে তেমনি বিমান হাইজ্যাক হওয়া কিংবা অন্তর্ঘাতী কোনো ঘটনার সম্ভাব্যতাও খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী দল। এদিকে, নিখোঁজ বোয়িং ৭৭৭-এর ওপর আন্তর্জাতিক অনুসন্ধান চালানোর জন্য মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ায় জয়েন্ট এজেন্সি কোঅর্ডিনেশন সেন্টার (জেএসিসি) নামে একটি কেন্দ্র খোলা হয়েছে। জেএসিসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বুধবার দুই লাখ একুশ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকায় তল্লাশি চালানো হবে। তবে সামুদ্রিক কুয়াশা এবং বিচ্ছিন্ন বজ্রপাতের কারণে বিমান থেকে সমূদ্রপৃষ্ঠ ভালোভাবে দেখা যাবে না। অস্ট্রেলিয়ার এই উদ্যোগের সঙ্গে যোগ দিতে ব্রিটিশ সাবমেরিন এইচএমএস ভারত মহাসাগরের দিকে রওনা হয়েছে। গত সপ্তায় মার্কিন নৌবাহিনীর কর্মকর্তা মার্ক ম্যাথিউস জানিয়েছিলেন, মালয়েশিয়ার নিখোঁজ বিমান অনুসন্ধান কাজে কয়েক বছরও সময় লেগে যেতে পারে। এর কারণ হিসেবে তিনি বিমানটি কোথায় গেছে তার তথ্য জানা না থাকার কথা উল্লেখ করেছেন। খবর-রেডিও তেহরান এর,গত ৮ মার্চ মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমান ২৩৯ জন যাত্রী নিয়ে কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিংয়ের উদ্দেশ্যে আকাশে ওড়ার পর নিখোঁজ হয়ে যায়। যাত্রীদের মধ্যে ১৫৩ জন ছিলেন চীনা নাগরিক।