জি নিউজ , ডেস্ক ঃ বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ভবিষ্যৎ সরকারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করতে পারবেন এমন কোন গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিকেই
রাষ্ট্রপতি মনোনীত করা উচিত। তবে এ বিষয়ে বিএনপি নিজেরা কোনও প্রস্তাব দেবে না, কিন্তু সরকার আলোচনার উদ্যোগ নিলে তারা তাতে সহযোগিতা করবেন বলে মি হোসেন জানান।আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান এ বিষয়ে বিরোধীদের সংসদে গিয়ে তাদের প্রস্তাব তুলে ধরার আহবান জানান। তিনি অবশ্য দাবি করেন আওয়ামী লীগ সবসময় বিবেচনার সংগেই এসব বিষয়ে কাজ করেছে।
বাংলাদেশ সংলাপের এই পর্বে আরো আলোচনায় অংশ নেন বিকল্প ধারা বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাহি বি চৌধুরী এবং বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সেলিমা আহমাদ।
“রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে বিএনপি নিজে থেকে কোনও প্রস্তাব দেবে না, তবে সরকার আলোচনার উদ্যোগ নিলে আমরা সাড়া দেব”
খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বিএনপি-র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একজন ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত করা কতটুকু জরুরি, এমন এক প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন বর্তমান সরকারের সময়কাল আছে মাত্র ৮ কি ১০ মাস, অথচ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন ৫ বছরের জন্য।
সুতরাং সরকার পরিবর্তন হলে ভবিষ্যৎ সরকারের সংগে তাল মিলিয়ে চলতে পারবেন এমন কাউকেই রাষ্ট্রপতি করা উচিত বলে তিনি অভিমত দেন।
প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান অবশ্য বলেন বিরোধী দলকে সংসদে গিয়ে এসব বিষয়ে তাদের প্রস্তাব তুলে ধরতে হবে। তবে আওয়ামী লীগ বরাবরের মতোই এ বিষয়ে সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলে তিনি দাবি করেন।
বিকল্প ধারার নেতা মাহী বি চৌধুরী বলেন রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে এমন কাউকে রাষ্ট্রপতি করা দরকার যাঁর দরজা সবসময় সবার জন্য খোলা থাকবে।
তবে রাজনৈতিক অঙ্গনের বাইরে থেকে কাউকে এই পদে আনলে সঙ্কট বাড়তে পারে বলেও মি চৌধুরী আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
“বিরোধী দলকে বলব, আপনারা আপনাদের প্রস্তাব জাতীয় সংসদে গিয়ে তুলে ধরুন।”
প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা, ড. মসিউর রহমান
অনুষ্ঠানের কয়েকজন দর্শকও মন্তব্য করেন, দেশের চলমান সঙ্কট নিরসনে গ্রহণযোগ্য কাউকে তারা বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে দেখতে চান।
সেলিমা আহমাদ বলেন,হরতালের কারণে ক্ষয়ক্ষতি বা জনগণের ভোগান্তির দায় কার, এমন এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকেই এ দায়িত্ব নিতে হবে।