ঝিনাইগাতীঃ প্রবাদে আছে, শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর, সমাজের মুকুট। সেই শিক্ষক যদি হয়, প্রতারক, প্রবঞ্চক ও নিয়োগ বাণিজ্যের দালাল তাহলে সেই শিক্ষককে কি উপাদিতে ভূষিত করা যায়, এমনই প্রশ্নের উদ্ভব হয়েছে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় সাধারণ জনগনের মাঝে। মামলার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের একতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম আমিরুজ্জামান তার প্রতিষ্ঠানে দপ্তরী পদে নিয়োগের মৌখিক ভাবে চুক্তি করে ঝিনাইগাতীর (গরু হাটির) মৃত আঃ করিমের ছেলে বেকার যুবক বাদশা ২ দফায় যথাক্রমে ৪/১/২০১৩ ইং তারিখে ৮০,০০০/- ও ৮/২/২০১৩ ইং তারিখে ৩০,০০০/-টাকাসহ মোট ১,১০,০০০/-এক লক্ষ দশ হাজার নগদ প্রদান করে। শর্ত মোতাবেক ১,১০,০০০/- টাকা নগদ গ্রহনের পর থেকে আমিরুজ্জামান চাকুরী প্রার্থী বাদশার সাথে টালবাহানা করতে থাকে। এমনকি গ্রহনকৃত টাকা ফেরত দিতে সাফ অ¯^ীকার করে । আর এ টাকার ব্যাপারে বেশী বাড়াবাড়ী করলে বাদশাকে মিথ্যা মামলা দিয়া জেল খাটাইবে বলে আমিরুজ্জামান ভয় দেখালে চাকুলী প্রার্থী বাদশা মিয়া নিরুপায় হয়ে আমিরুজ্জামানকে আসামী করে গত ১৩/০৬/২০১৩ ইং তারিখে বিজ্ঞ সি,আর আমলী আদালত ঝিনাইগাতী, শেরপুর-এ পিটিশন নং- ৫৭/২০১৩, মোঃ দঃ বিঃ ৪০৬/৪২০/১০৯ ধারায় একটি মামলা দায়ের করে। মহামান্য আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ঝিনাইগাতী থানার অফিসার্স ইনচার্জকে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। ইতিপুর্বেও বর্তমান সরকারের প্রতি মৌজায় মৌজায় প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের ঘোষনাকে পুঁজি করে শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে প্রায় ৬০-৭০ লক্ষ টাকা চাকুরী প্রার্থী বিভিন্ন বেকার যুবক-যুবতীদের নিকট থেকে হাতিয়ে নেয় এস এম আমিরুজ্জামান। এ অবৈধ, ভূয়া ও প্রশাসনের বিভিন্ন ব্যক্তির শীল ও ¯^াক্ষর জাল করে তার এ নিয়োগ বাণিজ্যের ব্যাপারে গত মাসে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভা কক্ষে মাসিক শিক্ষা কমিটির সভায় ব্যাপক সমালোচনার পর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের বরাবর পত্র প্রেরণ করেন উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি।
মুহাম্মদ আবু হেলাল/ঝিনাইগাতী/ শেরপুর