অনলাইন ডেস্কঃ- নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস নীলাকে ৩ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। গতকাল সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের বাসা থেকে নীলাকে আটক করা হয়। পরে সিদ্ধিরগঞ্জের মাদক ব্যবসায়ী জুয়েল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট যাবিদ হোসেনের আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। শুনানি শেষে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। কাউন্সিলর নীলা নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সেভেন মার্ডারের ঘটনার মূল হোতা কাউন্সিলর নূর হোসেনের বান্ধবী।সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আলাউদ্দিন জানান, সকাল ৭টায় নীলাকে তার বাসা থেকে আটকের পর সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় আনা হয়। সেখান থেকে তাকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে গত ১৮ই মে নারায়ণগঞ্জ সার্কিট হাউজে তদন্ত কমিটির কাছে সাক্ষ্য দিয়ে বাসায় ফেরার পথে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তাকে আটক করে। পরে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে পৌনে এক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। পলাতক নূর হোসেন সম্পর্কে খোঁজখবর নিতেই তাকে ওই দিন আটক করা হয় বলে ছাড়া পেয়ে নীলা জানিয়েছিলেন। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আলাউদ্দিন জানান, ২০১৩ সালের জুয়েল নামে এক যুবক খুন হয়। ওই ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি দেয়। এর সূত্রধরে নীলাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।আদালত সূত্রমতে, ২০১৩ সালের ২৬শে অক্টোবর সিদ্ধিরগঞ্জের আইয়ুবনগর এলাকা থেকে মাদক ব্যবসায়ী জুয়েলের দেহ ও পরে মাথা উদ্ধার করে। ২৭শে অক্টোবর থানার এসআই জিন্নাহ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে গ্রেপ্তারকৃত সোহাগ ওরফে কালা সোহাগ, মনা ডাকাত ও সোহেল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এর মধ্যে সোহাগ ও মনা ডাকাত তাদের স্বীকারোক্তিতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত হিসেবে নীলার নাম বলে। তারা আদালতকে জানায়, জুয়েল নীলার সঙ্গে মাদক ব্যবসা করতো। নীলাকে সে মাদক বাকি দিতো। এতে নীলার কাছে ৭০ লাখ টাকা বকেয়া পড়ে। বকেয়া টাকা চাইতে গেলে নীলা জুয়েলকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মতে মনা ডাকাত, সোহাগ ও সোহেল মিলে জুয়েলকে গলা কেটে হত্যা করে। দেহ এক স্থানে ও মাথা অন্য স্থানে ফেলে দেয়- যাতে সহজে জুয়েলের লাশ শনাক্ত না যায়।নূর-নীলার সম্পর্ক যেভাবে: ২০১১ সালের ৩০শে অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে নূর হোসেন ৪নং ওয়ার্ড থেকে এবং নীলা সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড (৪, ৫ ও ৬) থেকে নির্বাচিত হওয়ার পর দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সময় নীলাকে অনেক বেশি মূল্যায়ন করতো নূর হোসেন। ওই ওয়ার্ডের সব উন্নয়ন কাজ নীলাকে দিয়ে করাতো। ধীরে ধীরে নূর হোসেন ও নীলা ঘনিষ্ঠ হয়। ৪ থেকে ৬ মাস তাদের সম্পর্কটা খুব গভীর ছিল বলে নীলার দাবি। নিবিড় এ সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা ছিল ব্যাপক। কিন্তু যে যা-ই বলতো তেমন একটা গায়ে মাখেনি নূর ও নীলা। নীলাকে নূর এতটাই পছন্দ করতো সে শিমরাইল ট্রাক টার্মিনালের ভেতর নূরের কার্যালয়ে নীলা গেলে নূর দাঁড়িয়ে যেতো। এতে অনেকে অবাক হয়ে মন্তব্য করতো, এত প্রভাবশালী এবং ভয়ঙ্কয় মানুষটি নীলার জন্য এত পাগল? নীলাকে ২৭ লাখ টাকা দিয়ে প্রিমিও গাড়ি কিনে দিয়েছে নূর। বাড়িতে দাবি আসবাবপত্র সবই দিয়েছে। একতলা বাড়ি তিনতলায় বর্ধিত হয়েছে। এক সময় স্বামীকে ছেড়ে নূরের নিয়ন্ত্রণে চলে যায় নীলা। স্বাভাবিকভাবেই তারা এক সঙ্গে ঘুরে বেড়িয়েছে দেশের ভেতর ও বাইরে। কিন্তু সম্পর্কটা বেশি দিন স্থায়ী হলো না। হঠাৎ সম্পর্কে ছেদ ঘটে তাদের। এর পেছনে বলাবলি ছিল অন্য পুরুষের সঙ্গে নীলার সম্পর্কটা মেনে নিতে পারেনি নূর হোসেন। একদিন শীতলক্ষ্যা পরিবহনের চেয়ারম্যান লিটনের রঙমহল থেকে নীলাকে ধরে এনে ব্যাপক মারধর করে নূর হোসেন। ক্ষিপ্ত হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় নীলা। জোড়াতালি দিয়ে চলছিল তাদের সম্পর্ক। কখনও ঘনিষ্ঠ আবার কখনও দূরত্ব- এভাবেই চলতে থাকে। এক সময় সম্পর্কে ফাটল ধরে। নূরের দেয়া প্রিমিও গাড়ি ফেরত দেয় নীলা। গত বছরের ২৮শে মে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কার্যালয়ে গিয়ে নূরের বিরুদ্ধে মামলা করতে যায় নীলা। পুলিশ মামলা না নেয়ায় থানা কার্যালয়ের সামনে ইট দিয়ে নিজের হাতে নিজে আঘাত করে রক্তাক্ত করে। পরে চলন্ত গাড়ির নিচে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় নীলা। এক পর্যায়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে যায়। সেখানেও কোন প্রতিকার না পেয়ে একটি এসএমএস লিখে পরিচিত অনেকের মোবাইলে পাঠায় নীলা। তাতে লিখেছে, নূর হোসেন ও তার লোকজন আমার ক্ষতি করতে পারে। আমার মৃত্যুর জন্য নূর হোসেন ও তার লোকজন দায়ী থাকবে। কিন্তু এত কিছুর পরও নূর হোসেন পিছু ছাড়েনি নীলার। প্রায় প্রতিদিনই নীলাকে ফোন দিতো। নীলাও কথা বলতো। নূর তিনটি নম্বর থেকে ফোন দিতো বলে জানিয়েছে নীলা। গত ১১ মাস তাদের মধ্যে সম্পর্ক না থাকলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা হতো বলে জানিয়েছে নীলা। ফলে নূর হোসেন সেভেন মার্ডারের হুলিয়া মাথায় নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পর ডিবি পুলিশ নূরের অবস্থান জানতে ১৮ই মে নীলাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। ‘স্যার ঘাবড়াইয়েন না’: নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সেভেন মার্ডারের ঘটনায় ৬ পুলিশ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটি। সোমবার বিকাল সোয়া ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সার্কিট হাউজে গণশুনানি চলাকালে ওই ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রধান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহজাহান আলী মোল্লার নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিটি যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তারা হলেন- ফতুল্লা মডেল থানার সাবেক ওসি আকতার হোসেন, একই থানার সাবেক ওসি (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সাবেক ওসি আবদুল মতিন, জেলা ডিবি’র সাবেক ওসি (তদন্ত) আবদুল আউয়াল, ফতুল্লা মডেল থানার সাবেক এস আই ফজলুল হক ও এস আই জহিরুল ইসলাম।তদন্ত কমিটির সামনে যাওয়ার আগে একত্রে বসে এই ৬ কর্মকর্তাকে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে দেখা যায়। ফতুল্লা মডেল থানার সাবেক ওসি আকতার হোসেন বলেন, এটা পরীক্ষার আগে এক ধরনের প্রস্তুতি মাত্র। তবে তার পিছনে বসে থাকা একজন সাব- ইন্সপেক্টরকে দেখা যায় ডিবি’র সাবেক ওসি (তদন্ত) আবদুল আউয়ালকে সান্ত্বনা দিতে। ওই সাব-ইন্সপেক্টর আবদুল আউয়ালকে উদ্দেশ্য করে বলতে শোনা যায় ‘স্যার ঘাবড়াইয়েন না’। সাব-ইন্সপেক্টরের এমন আশ্বাস পেলেও ইন্সপেক্টরদেরকে তাদের প্রস্তুতকৃত নোটবুক মুখস্থ করতে দেখা যায়। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে ওসি আকতার হোসেন বলেন, আপনাদের সবই বলবো, শুধু এই কমিটিকে ফেস করে আসি।উল্লেখ্য, হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটি গণশুনানির প্রথম দফায় ১২ ও ১৩ই মে নারায়ণগঞ্জ সার্কিট হাউজে শুনানি করে। দু’দিনে সেখানে ৭৭ জন সাক্ষ্য দেন। ১৭ই মে সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনের ভেতর রেস্ট হাউজে শুনানিতে সাক্ষ্য দেন ১৯৮ জন। ১৮ই মে নারায়ণগঞ্জ সার্কিট হাউজে গণশুনানি করা হয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। সেখানে ১৮ জন সাক্ষ্য দেন। নারায়ণগঞ্জের ৩৬টি সংগঠনের ৮৭ জন প্রতিনিধি লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন। ২৩শে মে নারায়ণগঞ্জ সার্কিট হাউজে র্যাবের সদস্য কামাল উদ্দিন, দুই পুলিশ সদস্য কনস্টেবল ওমর ফারুক ও মো. রফিক, ফতুল্লার ভুঁইগড় এলাকার হাজী পান্দে আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি আব্দুর রউফ, বন্দরের কলেজছাত্রী রাবেয়া আক্তার আঁখিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ২৫শে মে সচিবালয়ে নারায়ণগঞ্জের সাবেক ডিসি মনোজ কান্তি বড়াল ও সাবেক এসপি সৈয়দ নুরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এদের মধ্যে প্রত্যক্ষদর্শী ৭ জন। তাদের ২ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।আইনজীবীদের বিক্ষোভ অব্যাহত: এদিকে এডভোকেট চন্দন সরকারসহ আলোচিত সাত খুনের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় আইনজীবীদের প্রতীকী কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। সোমবার দুপুরে আদালতপাড়ার ভেতরে জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে সাত খুনের ঘটনায় খুনিদের শাস্তিতে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ সমাবেশে আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, মিডিয়াতে প্রকাশ হওয়া নূর হোসেন ও একজন জনপ্রতিনিধির কথোপকথনই প্রমাণ করে যে, নূর হোসেনকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে ওই জনপ্রতিনিধি এবং অডিও প্রকাশের পর উনার সংবাদ সম্মেলনে বলা ‘র্যাবের হুমকি- আমরা না বাঁচলে আপনারাও বাঁচবেন না’- প্রমাণ করে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তিনিও জড়িত।এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি এডভোকেট মশিউর রহমান শাহীন, সাবেক সভাপতি এডভোকেট আবদুল বারী ভূঁইয়া, সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট শরৎচন্দ্র মণ্ডল, এডভোকেট রমজান আলী, এডভোকেট রকিবুল হাসান শিমুল, এডভোকেট তারাজ উদ্দিন।এডভোকেট সাখাওয়াতকেও জিজ্ঞাসাবাদের দাবি: ওদিকে নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সেভেন মার্ডারের প্রধান আসামি নূর হোসেনের সন্ধান পেতে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও ২৭শে এপ্রিল শামীম ওসমানের প্রকাশ করা অডিও টেপের গডফাদার ও গডমাদারকে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানিয়েছেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খোকন সাহা। সোমবার দুপুর ১২টায় নারায়ণগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণে সেভেন মার্ডারের খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী ঐক্যপরিষদের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে তিনি এ দাবি জানান।এ সময় আরও উপস্থিত জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু, এডভোকেট শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আসাদুজ্জামান, এডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন, এডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল, এডভোকেট পিন্টু খান, এডভোকেট কবিতা, এডভোকেট হাসিনা পারভিন, এডভোকেট সুইটি ইয়াসমিন, এডভোকেট মাহাবুব প্রমুখ।এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের টেলিভিশনে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারের বরাত দিয়ে এডভোকেট খোকন সাহা বলেন, সাক্ষাৎকারে সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, নূর হোসেন গৌর নামের একজন লোকের কাছে আছেন। সাখাওয়াত কোথা থেকে এ তথ্য পেলো যে নূর হোসেন গৌর নামের ওই ব্যক্তির কাছে আছে? তাহলে নূর হোসেনের সঙ্গে সাখাওয়াত হোসেনের যোগাযোগ হয়েছে। সাখাওয়াত হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সাত হত্যা মামলার খুনিদের সন্ধান পাওয়া যাবে। তাই এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান খোকন সাহা।সেভেন মার্ডারের সঙ্গে জড়িত সবার শাস্তি চায় মৈত্রী আইনজীবী সংঘ: অপরদিকে সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাত খুনের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবিতে মানববন্ধন করেছে আইনজীবীদের অরাজনৈতিক সংগঠন মৈত্রী আইনজীবী সংঘ। তারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবার শাস্তি দাবি করেছেন। তবে তারা কোন রাজনৈতিক ব্যক্তি বা কোন জনপ্রতিনিধির নাম উল্লেখ করেননি। সোমবার দুপুর ১টায় নারায়ণগঞ্জ আদালতের জেলা আইনজীবী সমিতির ভবনের সামনে সেভেন মার্ডারের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবিতে মানববন্ধন চলাকালে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তারা এ দাবি করেন।সংগঠনটির সভাপতি এডভোকেট মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট সুইটি ইয়াসমিন, এডভোকেট আশরাফুল আলম রাসেল, এডভোকেট সোহেল আজাদ, এডভোকেট এইচ এম আনোয়ার প্রধান, এডভোকেট মাহামুদুল আলমগীর, এডভোটেক কামাল হোসেন, এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আনু, এডভোকেট মহসিন, এডভোকেট শিউলী, এডভোকেট আরমান, এডভোকেট সারোয়ার প্রমুখ।সূত্র-মানবজমিন।