অনলাইন ডেস্ক:- মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ রুটে পদ্মা নদীতে একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় দৌলতদিয়াগামী এমভি মোস্তফা নামের একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবে যায়। গতকাল রবিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত লঞ্চডুবির ঘটনায় নারী-শিশুসহ এ পর্যন্ত ৪২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে অর্ধশত আরোহী। ঘিওর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা জিহাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, পাটুরিয়া ঘাট থেকে এমভি মোস্তফা-৩ নামের লঞ্চটি দৌলতদিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। ঘাট থেকে কিছু দূরেই এমভি নার্গিস নামে একটি কার্গো লঞ্চটিকে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চটি ডুবে যায়। লঞ্চটিতে আড়াই শতাধিক যাত্রী ছিলেন।
এদিকে পাটুরিয়া ঘাটের বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কর্মকর্তারা জানান, লঞ্চটি উদ্ধারের জন্য মুন্সীগঞ্জের মাওয়া থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম রওনা হয়েছে। মাওয়া থেকে রওনা দিয়েছে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা। দুর্ঘটনার পর থেকে স্থানীয় লোকজন, বিআইডব্লিউটিএ ও প্রশাসনের লোকজন ট্রলার নিয়ে নদীতে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
এদিকে, ডুবে যাওয়া লঞ্চ এমভি মোস্তফার নিহত যাত্রীদের এক লাখ ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান ড. খন্দকার শামসুজ্জোহা জানান, নিহতদের পরিবারকে এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা দেয়া হবে।
এর মধ্যে পাঁচ হাজার দাফন বাবদ দেয়া হবে। এছাড়া মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসকের তহবিল থেকে আরো ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে।
লঞ্চডুবির ঘটনায় দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাটে স্ব স্ব জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে দুটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক। এছাড়া, মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্যোগে একটি মেডিকেল সেন্টার খোলা হয়েছে পাটুরিয়া ঘাটে।
পদ্মায় লঞ্চডুবি: শিশুসহ ৪২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার
Share This