জি নিউজঃ- মাওলানা এম.এ. করিম ইবনে মছব্বির: রমজান মাস চলছে, এই রোজা রাখা আমাদের কেমন লাগছে? রমজানের ফলাফল আমরা নিজেরাই অনুভব করছি। কারণ রমজান মাসের স্বভাবই হলো আল্লাহপাকের সঙ্গে মুমিন বান্দাদের সম্পর্ক গভীরভাবে বেড়ে যায়। নবীয়ে করীম (সা.) বলেন- এ মাসে বড় বড় শয়তানদিগকে ডাণ্ডা বেড়ি লাগিয়ে দেয়া হয়। জান্নাতের সমস্ত গেইট খুলে দেয়া হয়, আর দোযখের সমস্ত গেইট বন্ধ করে দেয়া হয়। এর তাছীর অবশ্যই অন্তরে আসবে। এখানে প্রশ্ন আসতে পারে যে, রমজান মাসে শয়তান যদি বন্দি থাকে তাহলে রমজান মাসে মানুষ অন্যায় কেন করে? চুরি, ডাকাতি, ঘুষ, সুদ, ব্যবসা-বাণিজ্যে মানুষকে ঠকানো হয় কেন? বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল মিশিয়ে একদল অসাধু ব্যবসায়ী আল্লাহর নিয়ামত বিভিন্ন ফলমূলে বিষক্রিয়া প্রয়োগ করে নীরব সন্ত্রাস করে যাচ্ছে, এসব ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্যে সন্ত্রাসীর চেয়েও ভয়ঙ্কর, তারা মানুষকে প্রতিনিয়ত প্রতারণা করে যাচ্ছে। এসব কেমনে চলে? এটা হলো বৈদ্যুতিক পাখার মতো রেশ, সুইচ বন্ধ করা হয়ে গেছে, তবুও তার রেশ রয়ে গেছে। তারপর রেশের কারণে এইগুলো সংঘটিত হচ্ছে। এই শয়তান অন্য মাসে তরঙ্গ তুলে দিয়ে যায়, এই তরঙ্গ রমজান মাসেও প্রবাহিত হতে থাকে। আল্লাহপাকের সঙ্গে প্রগাঢ় সম্পর্কের মাধ্যমে অন্যায়ের তরঙ্গ বন্ধ করতে হবে। মুসলমান এলাকার মধ্যে মুসলমানদের হোটেল খোলা রাখা, এরা কেমন মুসলমান? এই এক মাস রেস্টুরেন্ট মালিকরা টাকা কামাই কমই করলেন, অথবা ইফতারের আগে রেস্টুরেন্ট খুললেন এটাই তো করতে পারতেন। আপনি এগারো মাস তো ব্যবসা করলেন আর এই পবিত্র মাসটিতে না হয় কমই কামাই করলেন। এগারো মাসের কামাই থেকে হোটেলের কর্মচারীদের বেতনের ব্যবস্থা করেন। এতে আপনার সম্পদ কমবে না, যদি আপনি মুমিন হয়ে থাকেন। দানের বদৌলতে আল্লাহপাক আপনাকে ধনসম্পদ বাড়িয়ে দেবেন। এতে কোন সন্দেহ নেই। নবীয়ে করীম (সা.) বলেন, কারও অধীনস্থ যদি কোন লোক থাকে, আর সে রমজান মাসে তার উপর অর্পিত বোঝা পাতলা করে দেয়। কিয়ামতের দিন সে মুমিনের অন্যায়ের বোঝা আল্লাহপাক কমিয়ে দেবেন। যেহেতু একজন কর্মচারীর দায়িত্ব আপনি পাতলা করে দিয়েছেন এ কারণে আল্লাহপাক আপনাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিবেন। এভাবে যদি আমরা মাহে রমজানের রোজাসমূহ পালন করে থাকি তাহলে রমজানের সকল বরকত এবং ফয়েজসমূহ হাসিল করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
পবিত্র মাহে রমজান
Share This