জি নিউজ ঃ হেফাজতে ইসলামের আমীর আহমেদ শফিসহ সংগঠনটির বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাদের পুলিশি হেফাজতে চট্টগ্রাম পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। আজ সন্ধ্যায় তাদেরকে চট্টগ্রামের বিমানে তুলে দেয়া হয়। পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, জনাব শফির সাথে হেফাজতের বেশ কয়েকজন নেতাও ছিলেন।
রোববার হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবিতে ডাকা অবরোধ ও সমাবেশ কর্মসূচির সময় রাজধানীর মতিঝিলের আশপাশ এলাকায় অবর্ননীয় এক ভয়াবহ সহিংসতা সৃষ্টি করে তান্ডব চালায় হেফাজতের নেত-কর্মীরা এতে অন্ততপক্ষে ৮ জন নিহত হয় এবং শতাধিক আহত হয়।
একপর্যায়ে সরকারের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শাপলা চত্বরে অবস্থানের সিন্ধান্ত নেয় নেতা-কর্মীরা আর আশপাশের বিভিন্ন দোকান-পাট পুড়িয়ে পুলিশের প্রতি বিরতিহীন ভাবে ইটপাটকেল আর ককটেল ছুঁড়তে থাকে। পরিস্থিতি এতটাই নিয়ন্ত্রনহীন ও নাজুক হয়ে পড়ে যে পুলিশসহ গোটা প্রশাসনকেই অসহায় মনে হতে থাকে। পরে অবশ্য পুলিশ সহ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রশাসনের সমšি^ত প্রয়াসে মাঝরাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হন, তবে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
গতকাল সোমবারও নারায়নগজ্ঞ ও হাটাজারিতে চলে সীমাহীন বর্বরতা। পুলিশ, বিজিবি সহ মারা যায় অন্তত ২৩ জন। গত দু’দিন ধরে চলা তান্ডবে কমপক্ষে মারা যান ৩১ জন আর আহত হয়েছেন অন্তত তিনশতাধিক।
এদিকে ¯^রাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, অবস্থান কর্মসূচি থেকে সহিংসতা সৃস্টির অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর এদিকে ¯^রাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশেই পুলিশি বিশেষ নিরাপত্তায় আহমেদ শফিসহ শীর্ষস্থানীয় নেতাদের লালবাগের একটি মাদ্রাসা থেকে বের করে বিমানযোগে চট্রগ্রাম পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
সাধারণ মানুষের মনে তাই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে ¯^রাষ্ট্রমন্ত্রী একদিকে বলছেন হেফাজতের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে অপরদিকে তিনি শীর্ষ নেতাদের পুলিশি পাহাড়ায় তাদের চলে যেতে সহায়তা করলেন। যারা দু’দিন ধরে এমন নারকিয় হত্যাযজ্ঞ আর তান্ডব চালালো, তাহলে কি সরকার তাদের গ্রেফতার করতে ভয় পাচ্ছে নাকি ভোটের রাজনীতিতে যাতে কোন বিরুপ প্রতিক্রিয়া না পড়ে তার জন্য একটি কৌশলী অবস্থান নিয়েছেন।
জহিরুল ইসলাম/ডেপুটি এডিটর/জি নিউজ