রংপুর প্রতিনিধি, জি নিউজ ঃ রংপুরে চার লেন সড়ক প্রকল্পের কাজ অনিশ্চিয়তার আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে। নির্ধারিত মেয়াদে প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়া, অর্থ বরাদ্দ না পাওয়া, অব্যবস্থাপনাসহ নানা কারণে কাজ মুখ থুবড়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ২০১১ সালের মার্চ মাসে প্রায় ৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু হওয়া কাজ চলতি বছরের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু এখনো পর্যন্ত ৩০ ভাগ কাজও হয়নি। সওজ সূত্র মতে, প্রকল্পের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর আরো এক বছর সময় চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, নগরে সড়কের অনেক স্থানে ৬৫ ফুট প্রস্থ নেই। বিশেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের মোড় থেকে ধাপ সড়ক ভবন পর্যন্ত ৫০ থেকে ৫৫ ফুট প্রস্থ সড়ক রয়েছে। কোথাও কোথাও আরো কম রয়েছে। মর্ডান মোড় থেকে কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল পর্যন্ত এবং মেডিকেল মোড় থেকে ডিসের মোড় পর্যন্ত সিলকোট ও ডিভাইডার দিয়ে কাজের কিছুটা অগ্রগতি হলেও প্রকল্পের অধিকাংশই স্থানেই কাজের অগ্রগতি নেই। বিশেষ করে লালবাগ থেকে পার্কের মোড় পর্যন্ত দু’পাশে রাস্তা খোঁড়ার কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। এদিকে, কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল থেকে মেডিকেল মোড় পর্যন্ত খোঁড়াখুঁড়ির পর কোথাও কোথাও খোয়া বিছানোর পর কাজ বন্ধ রয়েছে। প্রকল্পের এ অংশের কাজ পেয়েছিল বেসিক নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ফলে এ অংশের কাজ বাতিল করে নতুন করে দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া চলছে। এজন্য আবারো ১১ কোটি টাকার প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয়েছে।
এদিকে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৩ মাস বাকি থাকলেও রাজা রামমোহন ক্লাব থেকে শাপলা চত্বর পর্যন্ত সড়কের এখনো দরপত্র আহ্বান করা হয়নি। রাস্তার দু’ধারে স্থাপনা উচ্ছেদের ক্ষতিপূরণসহ অতিরিক্ত ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ না হওয়ার কারণে দরপত্র আহ্বান করা যাচ্ছে না। আদৌ তা বরাদ্দ হবে কি না তা নিয়েও সওজ কর্তৃপক্ষের সংশয় রয়েছে। অন্যদিকে প্রকল্প এলাকায় জেলা পরিষদের গাছ অপসারণ করা হলেও এ নো পর্যন্ত টি অ্যান্ড টি, পিডিপি ও সিটি করপোরেশনের খুঁটি সরানো হয়নি। দু’সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সিটি করপোরেশন জানিয়ে দিয়েছে, টাকা না পেলে খুঁটি অপসারণ সম্ভব নয়। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী উবায়দুর রহমান জানান, টাকা না পেলে খুঁটি সরানো সম্ভব নয়। একই কথা বলেছেন টিএন্ডটি প্রকৌশলী।
সওজ নির্বাহী প্রকৌশলী সাদেকুল ইসলাম প্রকল্পের কাজ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে জানান, ৫০ কোটি টাকার বরাদ্দ চাওয়া হয়েছিল, তা পাওয়া যায়নি। তিনি আরো জানান, বেসিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজ বাতিল করা হয়েছে। আবারো ১১ কোটি টাকার প্রাক্কলন তৈরি করে দরপত্র আহ্বান করা হচ্ছে।