জি নিউজ বিডি ডট নেট ঃ- বিশ্বের সবচেয়ে বৃহত্তর টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে বাংলাদেশে । হাম-রুবেলা টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের গোটা সময়জুড়েই প্রধানমন্ত্রীর কোলে বসেছিল এই শিশুটি। ছবি: বাসস।না, প্রধানমন্ত্রীর কোল থেকে কিছুতেই নামবে না শিশু সানজিদা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখনই ভাষণ দেবেন। একটা শিশুকে কোলে নিয়ে কীভাবে বক্তব্য দেবেন তিনি? শিশুটিকে নামানোর জন্য যাঁরা তোড়জোড় করছিলেন, তাঁদের থামালেন প্রধানমন্ত্রী। হাসি মুখে বললেন, ‘আমি দাদি-নানি, কোলে নিয়ে কাজে অসুবিধা হয় না।গতকাল রোববার সকাল নয়টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে এই দৃশ্যের অবতারণা। হাম-রুবেলা টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের ছোটাছুটি চলছে। চলছিল নানা আনুষ্ঠানিকতা। কিন্তু তিন বছরের শিশু সানজিদার এসবের দিকে ভ্রুক্ষেপ ছিল না। যেন অতি আপন কারও কোলে বেশ মজা পাচ্ছিল সে।শুরু থেকে সানজিদার সঙ্গে গল্প জুড়েছিলেন শেখ হাসিনা। শিশুটি তার নাম জানায়। বলে, সে ‘অ’ লিখতে পারে। তার মায়ের নাম সোমা। কিন্তু বাবার নাম বাবা।প্রধানমন্ত্রীকে যখন আনুষ্ঠানিকভাবে হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন ঘোষণার জন্য আহ্বান জানানো হয়, শিশুটি সাফ জানিয়ে দেয় সে কোল থেকে নামবে না। প্রধানমন্ত্রীও জোর করেননি। বক্তৃতা চলার সময়ও সে হঠাত্ কথা বলে ওঠে। প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞেস করেন, ‘কি, কিছু বলবে?’ শিশুটি ঘাড় নেড়ে জানায়, সে কিছু বলতে চায়। বক্তৃতা শেষে তিনি শিশুটিকে বলতে বলেন, ‘বলো, আমি টিকা নিচ্ছি। তোমরাও নাও। ভয় পাব না। টিকা দেব। সুস্থ হবো।’এর পরই গণভবনে কয়েকটি শিশুকে টিকা দেওয়া হয়। এ কর্মসূচিটি বাংলাদেশের ইতিহাসে বৃহত্তম। প্রায় পাঁচ কোটি ২০ লাখ শিশু এ কর্মসূচির আওতায় আসছে। অনানুষ্ঠানিকভাবে গতকাল শনিবার থেকে দেশজুড়ে হাম-রুবেলা টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। টিকা দিতে কিছুটা ব্যথা লাগলেও, শিশুদের কষ্ট ভুলিয়ে দিতে সেখানে হাজির ছিল শিশুদের প্রিয় সিসিমপুরের নানা চরিত্র। সূত্র- প্রথম আলো.তাঃ- ২৭জানুয়ারি ২০১৪