স্টাফ রিপোর্টার, জি নিউজ ঃ- চার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর আগামী ৬ জুলাই অনুষ্ঠেয় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে দলের বিভেদ মেটাতে উদ্যোগী হন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । গতমঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে বৈঠকের পর আজমত উল্লাহ খানের সমর্থনে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রার্থিতা ‘প্রত্যাহার’ করেছেন বলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন। নবগঠিত এই সিটি কর্পোরেশনে আওয়ামী লীগ সাবেক পৌর মেয়র আজমত উল্লাহকে সমর্থন দিলেও দলের ওই সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে প্রার্থী হন জাহাঙ্গীর। গতমঙ্গলবার রাতে সংসদ ভবনে আজমত ও জাহাঙ্গীর দুজনকেই ডেকে পাঠান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংসদ নেতার কার্যালয়ে ওই বৈঠকেই জাহাঙ্গীর নির্বাচন থেকে সরে যেতে রাজি হন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় পেরিয়ে যাওয়ায় জাহাঙ্গীর এখন সরে দাঁড়ালেও ব্যালট পেপারে তার নাম থাকবে। গতসোমবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় শেষ হওয়ার পর গতমঙ্গলবার দুপুরে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেন এই নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা। এতে জাহাঙ্গীর পান আনারস প্রতীক, আজমত পান দোয়াত-কলম প্রতীক। এই নির্বাচনে অন্য পাঁচ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে বিএনপি সমর্থিত সাবেক প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নানের সঙ্গেই এখন সরকারি দল সমর্থিত আজমতের মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। তার প্রতীক টেলিভিশন। গত শনিবার রাজশাহী, খুলনা, সিলেট ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী চারজনেরই শোচনীয় পরাজয় হয়, এই চারজনই ছিলো বিদায়ী মেয়র। ওই পরাজয়ের জন্য দলের বিভেদ দায়ী বলে আলোচনা ওঠে। বরিশালের মেয়র প্রার্থী হিরন মঙ্গলবার এক সভায় তার পরাজয়ের জন্য সরাসরি অভিযোগ তোলেন তার জেলার আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে। চার সিটি নির্বাচনে পরাজয়ের পর একক প্রার্থী ঠিক করতে আওয়ামী লীগ যে গুরুত্ব দিচ্ছে, তা স্পষ্ট হয়েছে দলীয় প্রধানের হস্তক্ষেপে।